Tuesday, January 1, 2019

২০১৮ সালে ক্রিকেটে যত অর্জন।

২০১৮ সালে ক্রিকেটে যত অর্জন।

২০১৮ সালে ঘরে আর বাইরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আর ক্রিকেটাররা আলো ছড়িয়েছেন। তবু ও ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২০১৮ সাল খুব কাছে গিয়েও না পাওয়ার। তিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। বছরের শেষে এসে টানা তিন টেস্ট জয়, মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি সবই ২০১৮তে।
ত্রিদেশীয় বা বহুজাতিক আসরে এক বছরে তিন ফাইনাল হার বছরে টিম টাইগার্সের বড় আক্ষেপ। যার শুরুটা বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে আর শেষ এশিয়া কাপ ফাইনাল হারে।
বছরের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের পর টেস্ট সিরিজেও ঘরের মাঠে লঙ্কানদের কাছে হার বাংলাদেশ যেনো অচেনা এক দল। মাঝে ছন্দে ফিরলেও ক্যারিবীয় সফরে আবারো ছন্দপতন। অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পোড়াবে বহুদিন। তবে ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নেয় ২-১ ব্যবধানে। বছরের শেষে এসেও প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ। পরের মাঠে টেস্ট হারের প্রতিশোধ ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে।
ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিলেও টি টোয়েন্টিতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে হেরে।মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেট সাফল্য পেলেও সিলেট টেস্টে হার ছিল বড় ধাক্কা।
টেস্টে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ শতকে সবচেয়ে বেশি ৬৭৩ রান মুমিনুল হকের। ওয়ানডেতে ৭৭০ রান নিয় সবার ওপরে মুশফিকুর রহিম, টি টোয়েন্টিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪৩ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবইকে ছাড়িয়ে তাইজুল ইসলাম, ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টির মুকুট মোস্তাফিজুর রহমানের। তবে সব ছাপিয়ে ঢাকা টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ২১৯ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
উলেখ্য, ২০১৮ তে নিজেদের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ৪৪টি। জয় ২১ টায়। ২০ ওয়ানডের মধ্যে ১৩টায় জয়, ৮টেস্টে জিতেছে ৩টিতে, আর টি টোয়েন্টির পরিসংখ্যানটা বড়ই রুগ্ন মাত্র ৫ জয়।


Saturday, December 29, 2018

মহানবী (সঃ) কে অবমাননা নয় জানিয়ে রুল জারি।

মহানবী (সঃ) কে অবমাননা নয় জানিয়ে রুল জারি।

ছবি: ইপিএ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কোনোরকম কটূক্তি না করতে রুল জারি করেছে ইইউ আদালত।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) এ রুল জারি করে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ
২০১১ সালের করা এক অস্ট্রিয় নারীর অভিযোগের বিচারের রায়ে নবী মুহাম্মদ (স.) কে কোনোরুপ অপমানজনক বক্তব্য দেয়া যাবে না সমর্থন জানিয়ে এই রুল জারি করে তারা।
এ মর্মে ইসিএইচআর জানায়, ইসলামের নবীকে নিয়ে কুটূক্তি কোনোমতেই কারও বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়েনা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ‘বেসিক ইনফরমেশন অন ইসলাম’ শীর্ষক সেমিনারে নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন এক অস্ট্রিয় নারী।
ধর্মীয় আদর্শকে অবমাননা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগে ২০১১ সালে ফেব্রুয়ারিতে ওই নারীকে ৪৮০ ইউরো (সাড়ে ৫শ’ ডলার) অর্থদণ্ড দেয় অস্ট্রিয়ার আদালত।
ওই নারী এর বিপক্ষে অস্ট্রিয়ার নিম্ন ও উচ্চ আদালতে যান। কিন্তু সেখানে আদালত তার অভিযোগ গ্রহণ না করায় তিনি ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) এ অভিযোগ করেন।
ওই নারীর অভিযোগ দীর্ঘ সময় বিচার বিশ্লেষণের পর ইইউ আদালত বৃহস্পতিবার ওই নারীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা দেয়।
এর আগে ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা এবং সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর পক্ষের কোনো অভিযোগ পেলে আদালত পদক্ষেপ নেবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল অস্ট্রিয়ার আদালত।
সে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিএইচআর জানায়, অন্য ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতি সুরক্ষিত রাখতে ও ধর্মীয় শান্তি সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ রুল জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় মোট জনসংখ্যা ৮.৮ মিলিয়ন, যেখানে ৬ লাখ মুসলিম অধিবাসী রয়েছেন।
মূত্রথলি ক্যান্সার কারন এবং প্রতিকার

মূত্রথলি ক্যান্সার কারন এবং প্রতিকার

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মূত্রথলির ক্যান্সারের কোনও লক্ষন আগে থেকে চেনা যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। 
গোটা বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারের পর মূত্রথলির ক্যান্সারেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সোরোস রাইস বাহরামি জানান, সাধারণত পুরুষদের বয়স ৫০ পার হলে মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ ধরনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রথলির ক্যান্সার নির্ধারণ করা হয়। অধ্যাপক বাহরামি জানান, রক্তে পিএসএ-র মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাক। তবে এর বেশি হলেই মূত্রথলির ক্যান্সার হয়েছে এটা ভাবা যাবে না। বরং এর সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে মূত্রথলির কোনও রকম স্ফীতি বা ফোলা ভাব লক্ষ্য করলে বায়োপ্সি করানো জরুরি। তাহলে মূত্রথলির ক্যান্সারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মূত্রথলির ক্যান্সারের কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন-
১. প্রস্রাবের সময় যদি সমস্যা হয় বা মূত্রত্যাগের গতি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এ ধরনের সমস্যা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও হতে পারে।
২. প্রস্রাবের রং স্বাভাবিকের থেকে গাঢ় হলে, মূত্রত্যাগের সময় তলপেটে ব্যথা বোধ করলে চিকিৎকসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
৩. প্রস্রাবের সময় যদি রক্ত বের হয় বা কোনও রকম ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হয় তাহলে বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
৪. হাড়ে ব্যথা বিশেষ করে মেরুদণ্ড বা কোমরে তীব্র ব্যথা হলে সেটাও মূত্রথলির ক্যান্সার হতে পারে।  
এ ছাড়াও তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মূত্রথলির ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। 
সূত্র : জি নিউজ

Friday, December 28, 2018

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন প্রশ্ন ২০১৮

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন প্রশ্ন ২০১৮

আজকের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের MCQ পরীক্ষার প্রশ্ন ২০১৮। সমাধান লাগলে কমেন্ট করতে পারেন।  

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ২০১৮ প্রশ্ন সমাধান।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ২০১৮ প্রশ্ন সমাধান।


বাংলা সমাধানঃ 

১. তেইশ নম্বর তৈলচিত্র উপন্যাসের রচয়িতা কে?
-আলাউদ্দিন আল আজাদ
২.লাজ শব্দটি কোন পদ?
-বিশেষ্য  
৩.  জলৌকা সন্ধি বিচ্ছেদ হবে-
- জল + ওকা
৪. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে?
-চন্দ্রাবতী
৫. কোনটি শরৎচন্দ্রের উপন্যাস নয়-
- চার অধ্যায়
৬.  গিন্নি কোন শ্রেণির শব্দ?
-অর্ধ-তত্সম
৭.  যোগরূঢ় শব্দ কোনটি?
-জলদ
 ৮.কোন টি বিটপি শব্দের সমার্থক শব্দ নয়?
-তৃণ
৯. প্রাচী শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
- প্রতীচী
১০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
-শাশ্বত
 ১১.  সিংহাসন শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
- কর্মধারয়
১২. যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ,  সুতরাং তুমি প্রথম হবে এটি একটি-
 - জটিল বাক্য
১৩.সমকাল পত্রিকার প্রথম সম্পাদকের নাম?
-সিকান্‌দার আবু জাফর
১৪. কোন বাংলা পদের সাথে সন্ধি হয় না-
-ক্রিয়া
১৫. বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক মহাকাব্য-
- মেঘনাবধ কাব্য
১৬. ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত জহির রায়হানের গ্রন্থটির নাম?-
আরেক ফাল্গুন
১৭.  ফৌজদারি শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
-ফারসি
১৮. নুরুলদীনের সারাজীবন কোন ধরনের রচনা?
-নাটক
১৯.  বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ গুলোর মধ্যে কতটি ব্যঞ্জনবর্ণ
- ৬টি
২০ কোনটি তৎসম শব্দ-
২১. বাংলাদেশের গ্রাম থিয়েটারের প্রবর্তক কে
-সেলিম আল দীন
২২.  পূর্ববঙ্গ গীতিকার লোকপালা  সমূহের সংগ্রাহক কে
-চন্দ্রকুমার দে
২৩.  বিষ্ময়াপন্ন  সমস্ত পদটির সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি-
২৪.  কোন বাক্যটি সঠিক-
২৫.  ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এর রচিত উপন্যাস কোনটি
-চিলেকোঠার সেপাই

English:

২৬. Synonym of Random? Arbitrary
২৭. Plural form of appendix? Appendices
২৮. He walks as if he —–lame. Ans: Were
২৯. Find out the collective noun of the following? Army
৩০. Cohesion and Coherence is essential in? Paragraph
৩১. “to err is human; to forgive, divine” is written by? Alexander Pope
৩২. How many parts there in a letter? Four
৩৩. He assisted me —-answering the question. Ans: in
৩৪. He is the (bad) boy in the class. Ans: Worst
৩৫. Differentiate is a? Verb
৩৬. Choose the correct sentence: Please listen to my advice.
৩৭. Don’t waste your time. (passive voice) -let your time not be wasted
৩৮. What is the meaning of the word ‘Habeas corpus’? Fundamental rights of a prisoner
৩৯. Which of the following sentence is not correct?
Incorrect: Since we were late, so we decided to go by taxi.
৪০. Pros and cons means? a) advantages and disadvantages b) Merits and demerit c) good and bad
Ans: d) All
৪১. The boy reads a book.What kind of verb read in the sentence is? Ans: Principle verb
৪২. A person who writes about his own life is? Ans: Autobiography
৪৩. None but the brave deserve the fair. In this sentence but is? Ans: preposition
৪৪. Choose the correct use of suffix er? operater
৪৫. I don’t commit myself to comment deeply —this affair. Ans: on
৪৬. Choose the correct  sentence: I saw her enter the room.
৪৭. “A rolling stone gathers no moss” The complex form of the sentence is: A stone that rolls gathers no moss.
৪৮. Which word of the following is singular? formula
৪৯. Which of the following is not a poetic tradition? The Comic
৫০. He worked “with all sincerity”. the underlined phrase “with all sincerity” is: An adverbial phrase

সাধারণ বিজ্ঞান ,  গণিত , মানুষিক দক্ষতাঃ
৫১. ডাইনামো
৫২.
৫৩. বায়ুর চাপ কম
৫৪. রক্ত রসে
৫৫. কে
৫৬. ক্লোরোপিকরিন
৫৭. ১০৭
৫৮.  MN+1
৫৯. অমূলদ সংখ্যা
৬০.
৬১. ৩০৮
৬২. ৫জন
৬৩. ৭০
৬৪.
৬৫.
৬৬. ১০
৬৭.
৬৮.
৬৯.
৭০. Coat
৭১. C
৭২. D
৭৩.
৭৪.
৭৫.


৭৬. বাংলাদেশের সরকারি ইপিজেড কয়টি- ৮টি


৭৭. বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি করে-  চীন  
৭৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পটভূমিকায় নির্মিত ধীরে বহে মেঘনা চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কে- আলমগীর কবির
৭৯.ঐতিহাসিক ২১  দফা দাবির প্রথম দাবি কি ছিল- বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা
৮০.  বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করে- ডাচ বাংলা ব্যাংক
৮১.  বাংলাদেশের কোন জাতীয় সংসদ প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু হয়-সপ্তম
৮২. বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারিত মামলার রায় হয় কবে-
৮৩. রাজসিক বিহার ভাস্কর্য কোথায় অবস্থিত-হোটেল রূপশী বাংলা এর সামনে
৮৪.  নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার এর প্রতিষ্ঠাতা কে-ধর্মপাল
৮৫.  প্রাচীনকালে সমতট বলতে বাংলা কোন অঞ্চল কে বুঝানো হয়- বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল
৮৬.  কোন উৎস থেকে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে-মূল্য সংযোজন কর
৮৭. লালবাগ কেল্লায় কার সমাধি আছে- শায়েস্তা খানের কন্যা পরীবিবি
৮৮. কোন দেশ জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য নয়- কানাডা
৮৯.  এজেন্ডা 21 দ্রুত হয় কোন সম্মেলনে-রিও ডি
৯০. 2018 সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের মাসকট কি ছিল-জাবিভাকা
৯১. হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোন দেশ ভিত্তিক সংগঠন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৯২. জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়-সানফ্রানসিস্কোতে
৯৩.  নিচের কোন রাষ্ট্র  সার্বভৌমত্বহীন -  ফিলিস্তিন
৯৪.    হরপ্পা   মহেঞ্জোদারো  কোন সভ্যতা হিসেবে পরিচিত- সিন্ধু
৯৫.NATO  কোন ধরনের জোট- সামরিক
৯৬.  Fair FAX কি- একটি গোয়েন্দা সংস্থা
৯৭. কোনটি বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংগঠন নয়-IMF
৯৮.  বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী কে-শ্রীমাভো বন্দরনায়েক
৯৯. বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি-নালন্দ
১০০.  ব্লাক সেপ্টেম্বর কি-  গেরিলা সংস্থা
অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি GPS.বিস্তারিত পড়ুন।

অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি GPS.বিস্তারিত পড়ুন।

প্রযুক্তি বিশ্বের তাক লাগানো এক আবিষ্কার, জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর নাম হয়তবা আপনি এরমধ্যেই শুনেছেন। অনুসন্ধানী মানুষ কবুতরের মস্তিষ্কের গঠন থেকে এই আশ্চর্য জিনিস আবিস্কার করেছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯৭৭ সালে জিপিএস প্রযুক্তি আবিষ্কার করে। শুরুতে এর ব্যবহার একেবারেই সামরিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে সাধারন মানুষের ব্যবহারের জন্য এই প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

জিপিএস (GPS) কি?

জিপিএস (GPS) একটি কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেকোনো আবহাওয়াতে সময়ের সাথে পৃথিবীর যেকোনো স্থির বা চলমান বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা এর প্রধান কাজ। জিপিএস এক ধরনের একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, এর ব্যবহারকারীরা উপগ্রহ থেকে পাঠানো সঙ্কেত শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে কিন্তু নিজেরা উপগ্রহে সঙ্কেত পাঠাতে পারে না। আবিষ্কারের পরে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও সামরিক পরিদপ্তর ধাপেধাপে এর উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মার্কিনীরা ১৯৯৫ সালে ২৪টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে সৃষ্ট নেটওয়ার্ককে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে ব্যবহারযোগ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করে। অ্যামেরিকার হাওয়াইতে স্থাপিত স্যাটেলাইট ট্রেকিং ষ্টেশন থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী এই স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রন করে থাকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় বিশ হাজার উচ্চতায় এইসব স্যাটেলাইট ৬টি অরবিটে দিনে দুবার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?

ছয়টি অরবিট এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যে কোন সময় কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইট দৃশ্যমান হয় সাধারনভাবে। স্যাটেলাইটগুলো প্রতিনিয়ত দুধরনের সংকেত প্রেরণ করছে যেমন L1 ও L2। L1 হচ্ছে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য, যার ফ্রিকোয়েন্সী ১৫৭৫.৪২ মেগাহার্জ। এই সংকেতের জন্য প্রয়োজন লাইন অফ সাইট। অর্থাৎ যোগাযোগের সময় স্যাটেলাইট ও রিসিভারের মাঝখানে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে । স্যটেলাইট থেকে সংকেতগুলো আসে আলোর গতিতে, প্রতিটি সংকেতে এর সেন্ডিং টাইম লেখা থাকে।
জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?
জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?
এই সংকেত গুলো গ্রহন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় জিপিএস রিসিভারের মাধ্যমে। জিপিএস রিসিভারে আসা সংকেতটির রিসিভিং টাইম থেকে সেন্ডিং টাইম বিয়োগ করে সিগন্যালের রানটাইম নির্ণয় করা হয়। রানটাইমকে তিন লক্ষ দিয়ে গুণ করলে রিসিভার থেকে স্যাটেলাইটটির দুরত্ব জানা যায়। এভাবে চারটি স্যাটেলাইটের দূরত্ব নির্ণয় করে রিসিভার প্রতিটি স্যাটেলাইটের পজিশনকে কেন্দ্র করে, প্রতিটির দূরত্বকে এর ব্যাসার্ধ বিবেচনা করে চারটি ত্রিমাত্রিক বৃত্ত আকা হয়।
আদিকালে মানচিত্র, কম্পাস, স্কেল ইত্যাদি দিয়ে মেপে ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন বস্তু বা স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হত। এইসব পদ্ধতি খুব নিখুঁত ছিল না স্বাভাবিকভাবেই। বর্তমানে জিপিএসের মাধ্যমে চমৎকারভাবে আগেরকার খুঁতগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
ধরুন আপনি বাংলাদেশের কোন জায়গায় হারিয়ে গেলেন এবং আপনি জায়গাটির নাম জানেন না, আশপাশ চেনেন না। আপনি ঠিক করতে পারছেন না কোনদিকে যাবেন, কি করবেন। এসময় A নামে একজন লোকের দেখা পেলেন তারও আপনার দশা। তবে তার কাছে বাংলাদেশের একটা মানচিত্র আছে কিন্তু তা কোন কাজে আসছে না আপনাদের কারোরই। কারণ আপনারা কোন জায়গায় আছেন তা যদি জানতেন তাহলে তো মানচিত্র দেখে আশেপাশের শহর কোনটি, কোনদিকে যেতে হবে, কতদূর যেতে হবে –এইসব প্রশ্নের উত্তর নিমিষেই খুঁজে পেতেন।
এইসময় X, Y, Z নামে তিনজন সাহায্যকারীর দেখা পেলেন আপনারা । X বলল আপনারা ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আছেন, কিন্তু ঢাকার কোনদিকে আছেন তা তিনি বলতে পারেননি। A তার মানচিত্রে ঢাকাকে কেন্দ্র করে ১২০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ মেনে একটি বৃত্ত আকলেন । ফলে যেসব জায়গার উপর দিয়ে বৃত্তের পরিধিটি আকা হয়েছে সেসব জায়গার কোন একটিতে আপনারা আছেন, এতটুকু বলা যায়। Y বললেন আপনারা বরিশাল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে আছেন, তিনিও কোন দিক জানাতে পারলেন না । A তার মানচিত্রে বরিশালকে কেন্দ্র করে ১৮০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ মেনে আরও একটি বৃত্ত আকলেন। কিন্তু একই সাথে X ও Yএর তথ্যকে সঠিক হিসেবে নিলে আপনাদের অবস্থান জামালপুর অথবা ময়মনসিংহের কোন একটি জায়গায় হবে। কারণ বৃত্ত দুটি পরস্পরকে এ দুটি জায়গায় ছেদ করেছে, যা বাস্তবে তো সম্ভব নয়। গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবে শুধুমাত্র এ দুটি জায়গা থেকেই ঢাকার দুরত্ব ১২০ ও রংপুরের দুরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। এবার Z বললেন আপনারা সিলেট থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে আছেন। A তার মানচিত্রে আবার সিলেটকে কেন্দ্র করে ১৭০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ মেনে একটি বৃত্ত আকল। এই নিয়মে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৃত্ত তিনটি পরস্পরকে শুধু একটি বিন্দুতে ছেদ করেছে, সেটি হল শরীয়তপুর। তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু থেকে X, Y এবং Z তিনজনের তথ্যই সঠিক সেটা বোঝা গেল।
তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু
তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু
এখন আমরা এভাবে বলতে পারি যে, X, Y এবং Z নামের তিনটি স্যাটেলাইট থেকে প্রেরিত বিশেষ তথ্য A নামের GPS রিসিভার গ্রহণ করে গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবের মাধ্যমে ডিজিটাল মানচিত্রে আপনার বর্তমান অবস্থানটি উল্লেখ করার যে পদ্ধতি বা প্রযুক্তি তারই পূর্ণনাম গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা সংক্ষেপে জিপিএস। আপনার স্মার্টফোনের সাহায্যেই এই চমৎকার সেবা সম্পর্কে জানতে পারেন, এখনই!
পৃথিবী গোল কেন?জেনে নিন।

পৃথিবী গোল কেন?জেনে নিন।

বিজ্ঞান বলে, মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে একদিন এই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল। প্রথমে মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ছিল বিশাল। বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব দ্রুত প্রসারিত হয়। তত এর তাপমাত্রা কমতে থাকে। তাপমাত্রা কমার পর প্রথমেই সৃষ্টি বস্তুকণা। কোয়ার্ক, প্রোটন, ইলেক্ট্রন, নিউট্রন, নিউট্রোনো ইত্যাদি। কণাগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর ওদের ভেতর আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। এই আকর্ষণ বল হলো মহাকর্ষ বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল। বস্তুকণা পরস্পরের কাছাকাছি আসতে শুরু করে। তাপমাত্রা তখনও কমছে। ফলে বস্তুকণাগুলো আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। কণাগুলো যত কাছাকাছি আসে, তাদের ভেতর আকর্ষণ বলও তত শক্তিশালী হয়। ফলে ইলেক্ট্রন, প্রোট্রোন আর নিউট্রন মিলে জন্ম হয় গ্যাসীয় পরমাণুর। কাছাকাছি পরমাণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। ফলে ঘন হতে শুরু করে গ্যাসীয় পরমাণুগুলো। 
ধীরে ধীরে মহাশূন্যের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের পরমাণুগুলো যুক্ত হয়ে তৈরি করে বিরাট গ্যাসের গোলক। বিশাল তাপমাত্রার গোলক। এই গোলকগুলো হলো একেকটা নক্ষত্র। তারপর নক্ষত্রগুলোর ভেতরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। নক্ষত্রগুলোর ভেতর নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বলে নক্ষত্রগুলো। সেসময় অনেক ছোট ছোট গ্যাস পিন্ডেরও জন্ম হয়। সেগুলো তাপমাত্রা কমতে কমতে একসময় গ্যাসীয় পরমাণুগুলো ঠান্ডা হয়ে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। তৈরি হয় গ্রহ। তেমনই এক গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবী গোল কেন? বাঁকাও তো হতে পারত?
পারত। কিন্তু হয়নি। কারণ, গ্যাসীয় পরণুগুলো যত আসার সময় এর একটা পরমাণুর চারপাশে অংসংখ্য পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলাকার আকৃতি পায়। সেই পরমাণু গোলককে ঘিরে আরও অনেক পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলকটা আরও বড় হয়। এভাবে এক সময় বিরাট গোলক তৈরি হয়। ফলে নক্ষত্রগুলো হয় গোলাকার। আবার ছোট গ্যাসপিন্ডগুলো ঠান্ডা হলে ও ওদের আকার গোলই থাকে। অন্য সহ-উপগ্রহ নক্ষত্রের মতো পৃথিবীও গোলাকার।