Saturday, December 29, 2018

মূত্রথলি ক্যান্সার কারন এবং প্রতিকার

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মূত্রথলির ক্যান্সারের কোনও লক্ষন আগে থেকে চেনা যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। 
গোটা বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারের পর মূত্রথলির ক্যান্সারেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সোরোস রাইস বাহরামি জানান, সাধারণত পুরুষদের বয়স ৫০ পার হলে মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ ধরনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রথলির ক্যান্সার নির্ধারণ করা হয়। অধ্যাপক বাহরামি জানান, রক্তে পিএসএ-র মাত্রা সাধারণত ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাক। তবে এর বেশি হলেই মূত্রথলির ক্যান্সার হয়েছে এটা ভাবা যাবে না। বরং এর সঙ্গে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হবে। এই টেস্টে মূত্রথলির কোনও রকম স্ফীতি বা ফোলা ভাব লক্ষ্য করলে বায়োপ্সি করানো জরুরি। তাহলে মূত্রথলির ক্যান্সারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মূত্রথলির ক্যান্সারের কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন-
১. প্রস্রাবের সময় যদি সমস্যা হয় বা মূত্রত্যাগের গতি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এ ধরনের সমস্যা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও হতে পারে।
২. প্রস্রাবের রং স্বাভাবিকের থেকে গাঢ় হলে, মূত্রত্যাগের সময় তলপেটে ব্যথা বোধ করলে চিকিৎকসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
৩. প্রস্রাবের সময় যদি রক্ত বের হয় বা কোনও রকম ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হয় তাহলে বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
৪. হাড়ে ব্যথা বিশেষ করে মেরুদণ্ড বা কোমরে তীব্র ব্যথা হলে সেটাও মূত্রথলির ক্যান্সার হতে পারে।  
এ ছাড়াও তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মূত্রথলির ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। 
সূত্র : জি নিউজ

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: