Showing posts with label জানা অজানা. Show all posts
Showing posts with label জানা অজানা. Show all posts

Sunday, January 13, 2019

সৌরজগতের শেষ সীমানায় নতুন গোলাপী গ্রহের সন্ধান।

সৌরজগতের শেষ সীমানায় নতুন গোলাপী গ্রহের সন্ধান।


আমাদের সৌরজগতের একদম শেষ প্রান্তে নতুন এক বামন গ্রহ খুঁজে পাওয়া গেছে। গোলাপি রঙের ছোট্ট এই জ্যোতিষ্ককে ডাকা হচ্ছে ‘ফারআউট’ নামে।
সূর্য থেকে ১১.১৫ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত এই জ্যোতিষ্কের বৈজ্ঞানিক নাম ২০১৮ ভিজি১৮। তার ব্যাস ৫০০ কিলোমিটার মাত্র। সাধারণত যেসব জ্যোতিষ্কের বরফ বেশি থাকে সেগুলোর রঙ এমন গোলাপি ধাঁচের হয়। পৃথিবী থেকে সূর্যের দুরত্বকে বলা হয় এক এইউ (AU)। সে হিসেবে প্লুটো গ্রহটি ৩৪ এইউ দূরে, এবং ফারআউট ১২০ এইউ।

১০ নভেম্বর ফারআউটকে খুঁজে পাওয়া গেছে জাপানের সুবারু টেলিস্কোপের সাহায্যে। হাওয়াইইয়ের মনা কিয়ায় অবস্থিত এই টেলিস্কোপ। এর ব্যাপারে তেমন কিছু এখনো জানা জায়নি। শুধু এর বিশাল দুরত্ব, সম্ভাব্য ব্যাস ও রঙের বিষয়ে নিশ্চিত গবেষকরা। ফারআউট বামন গ্রহের দলে পড়ে। সে সূর্য থেকে এত দূরে থাকার কারণে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে খুবই ধীরে। একবার সূর্যের চারপাশের ঘুরে আসতে তার প্রায় ১ হাজার বছর লেগে যায়।
প্লুটো পার হয়েও সৌরজগতের অংশ হয়ে আছে, এমন জ্যোতিষ্কের তালিকায় নতুন সংযুক্ত হলো ফারআউট। নেপচুন গ্রহের পর সৌরজগতে যা আছে তাদেরকে ট্রান্স-নেপচুনিয়ান অবজেক্ট (টিএনও) বলে। সৌরজগতের প্রান্তে কী পরিস্থিতি রয়েছে তার বিষয়ে গবেষকদের জানতে সাহায্য করে এসব জ্যোতিষ্ক।

সৌরজগতের অন্য যে কোণ জ্যোতিষ্কের তুলনায় বেশি দূরে ও বেশি ধীরে চলে ফারআউট। তাই আরও কয়েক বছর সময় লাগবে এর কক্ষপথ নির্ধারণ করতে। অন্যান্য টিএনও’র মতোই আচরণ করতে পারে এই বামন গ্রহটি। তাদের আচরণ থেকে গবেষকরা ধারণা করেন, এখনো আমাদের অজানা একটি নবম গ্রহ রয়ে গেছে সৌরজগতের প্রান্তে। এই গ্রহ আকারে অনেক বড় বলে তারা ধারণা করেন। ওই গ্রহের দ্বারাই প্রভাবিত হয় এসব ছোট ছোট টিএনও।
সুত্র: আইএফএলসায়েন্স

Friday, January 4, 2019

মহাবিশ্ব নক্ষত্রের আলোর পরিমান আবিষ্কার!!

মহাবিশ্ব নক্ষত্রের আলোর পরিমান আবিষ্কার!!

প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর আগে যখন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল,ঠিক তকন থেকেই নক্ষত্র অর্থাৎ তারাদের উৎপত্তি। মহাবিশ্বের দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সিতে তারার সংখ্যা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন।

এ প্রথমবারের মত বিজ্ঞানীরা বের করতো পেরেছেন নক্ষত্র বা তারা ঠিক কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল  এবং বিগত সময় ধরে ঠিক কতখানি আলো উৎপন্ন হয়েছে তারাগুলো থেকে।

বিজ্ঞানীদের এ গণনায় মূল ভূমিকা রাখে নাসার একটি বিশেষ ধরনের টেলিস্কোপ 'ফেরমি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ '। এ দূরবীক্ষণ যন্রটি মহাবিশ্বে উৎপন্ন সকল আলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সঠিক ধারণা এনে দেয়।

তবে সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ব্যাপারটা একটু কঠিনই বটে। কেননা আলোককণা বিকিরণের সংখ্যাটি এতই বড় যে, বিশাল আকারের এ সংখ্যাটি একসাথে লিখতেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে তাদের ।সংখ্যাটি লিখতে 'চার' এরপর ৮৫টি শূন্য লিখতে হয়েছে।                               

Thursday, January 3, 2019

মহাকাশের রং কালো কেন?

মহাকাশের রং কালো কেন?

প্রশ্নঃ- মহাকাশের রং কালো কেন??

সমাধানঃ- মহাকাশে বায়ুমণ্ডল না থাকায় সেখানে কোনো বস্তুকণায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত বা বিক্ষিপ্ত হয় না।
তাই সেখানে(মহাকাশে) কোনো বস্তুতে পতিত আলো দেখা যায় না।    

Friday, December 28, 2018

অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি GPS.বিস্তারিত পড়ুন।

অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি GPS.বিস্তারিত পড়ুন।

প্রযুক্তি বিশ্বের তাক লাগানো এক আবিষ্কার, জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর নাম হয়তবা আপনি এরমধ্যেই শুনেছেন। অনুসন্ধানী মানুষ কবুতরের মস্তিষ্কের গঠন থেকে এই আশ্চর্য জিনিস আবিস্কার করেছে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯৭৭ সালে জিপিএস প্রযুক্তি আবিষ্কার করে। শুরুতে এর ব্যবহার একেবারেই সামরিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে সাধারন মানুষের ব্যবহারের জন্য এই প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

জিপিএস (GPS) কি?

জিপিএস (GPS) একটি কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেকোনো আবহাওয়াতে সময়ের সাথে পৃথিবীর যেকোনো স্থির বা চলমান বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা এর প্রধান কাজ। জিপিএস এক ধরনের একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, এর ব্যবহারকারীরা উপগ্রহ থেকে পাঠানো সঙ্কেত শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে কিন্তু নিজেরা উপগ্রহে সঙ্কেত পাঠাতে পারে না। আবিষ্কারের পরে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও সামরিক পরিদপ্তর ধাপেধাপে এর উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মার্কিনীরা ১৯৯৫ সালে ২৪টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে সৃষ্ট নেটওয়ার্ককে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে ব্যবহারযোগ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করে। অ্যামেরিকার হাওয়াইতে স্থাপিত স্যাটেলাইট ট্রেকিং ষ্টেশন থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী এই স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রন করে থাকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় বিশ হাজার উচ্চতায় এইসব স্যাটেলাইট ৬টি অরবিটে দিনে দুবার করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?

ছয়টি অরবিট এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যে কোন সময় কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইট দৃশ্যমান হয় সাধারনভাবে। স্যাটেলাইটগুলো প্রতিনিয়ত দুধরনের সংকেত প্রেরণ করছে যেমন L1 ও L2। L1 হচ্ছে বেসামরিক ব্যবহারের জন্য, যার ফ্রিকোয়েন্সী ১৫৭৫.৪২ মেগাহার্জ। এই সংকেতের জন্য প্রয়োজন লাইন অফ সাইট। অর্থাৎ যোগাযোগের সময় স্যাটেলাইট ও রিসিভারের মাঝখানে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে । স্যটেলাইট থেকে সংকেতগুলো আসে আলোর গতিতে, প্রতিটি সংকেতে এর সেন্ডিং টাইম লেখা থাকে।
জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?
জিপিএস (GPS) কিভাবে কাজ করে?
এই সংকেত গুলো গ্রহন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় জিপিএস রিসিভারের মাধ্যমে। জিপিএস রিসিভারে আসা সংকেতটির রিসিভিং টাইম থেকে সেন্ডিং টাইম বিয়োগ করে সিগন্যালের রানটাইম নির্ণয় করা হয়। রানটাইমকে তিন লক্ষ দিয়ে গুণ করলে রিসিভার থেকে স্যাটেলাইটটির দুরত্ব জানা যায়। এভাবে চারটি স্যাটেলাইটের দূরত্ব নির্ণয় করে রিসিভার প্রতিটি স্যাটেলাইটের পজিশনকে কেন্দ্র করে, প্রতিটির দূরত্বকে এর ব্যাসার্ধ বিবেচনা করে চারটি ত্রিমাত্রিক বৃত্ত আকা হয়।
আদিকালে মানচিত্র, কম্পাস, স্কেল ইত্যাদি দিয়ে মেপে ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন বস্তু বা স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হত। এইসব পদ্ধতি খুব নিখুঁত ছিল না স্বাভাবিকভাবেই। বর্তমানে জিপিএসের মাধ্যমে চমৎকারভাবে আগেরকার খুঁতগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
ধরুন আপনি বাংলাদেশের কোন জায়গায় হারিয়ে গেলেন এবং আপনি জায়গাটির নাম জানেন না, আশপাশ চেনেন না। আপনি ঠিক করতে পারছেন না কোনদিকে যাবেন, কি করবেন। এসময় A নামে একজন লোকের দেখা পেলেন তারও আপনার দশা। তবে তার কাছে বাংলাদেশের একটা মানচিত্র আছে কিন্তু তা কোন কাজে আসছে না আপনাদের কারোরই। কারণ আপনারা কোন জায়গায় আছেন তা যদি জানতেন তাহলে তো মানচিত্র দেখে আশেপাশের শহর কোনটি, কোনদিকে যেতে হবে, কতদূর যেতে হবে –এইসব প্রশ্নের উত্তর নিমিষেই খুঁজে পেতেন।
এইসময় X, Y, Z নামে তিনজন সাহায্যকারীর দেখা পেলেন আপনারা । X বলল আপনারা ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আছেন, কিন্তু ঢাকার কোনদিকে আছেন তা তিনি বলতে পারেননি। A তার মানচিত্রে ঢাকাকে কেন্দ্র করে ১২০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ মেনে একটি বৃত্ত আকলেন । ফলে যেসব জায়গার উপর দিয়ে বৃত্তের পরিধিটি আকা হয়েছে সেসব জায়গার কোন একটিতে আপনারা আছেন, এতটুকু বলা যায়। Y বললেন আপনারা বরিশাল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে আছেন, তিনিও কোন দিক জানাতে পারলেন না । A তার মানচিত্রে বরিশালকে কেন্দ্র করে ১৮০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ মেনে আরও একটি বৃত্ত আকলেন। কিন্তু একই সাথে X ও Yএর তথ্যকে সঠিক হিসেবে নিলে আপনাদের অবস্থান জামালপুর অথবা ময়মনসিংহের কোন একটি জায়গায় হবে। কারণ বৃত্ত দুটি পরস্পরকে এ দুটি জায়গায় ছেদ করেছে, যা বাস্তবে তো সম্ভব নয়। গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবে শুধুমাত্র এ দুটি জায়গা থেকেই ঢাকার দুরত্ব ১২০ ও রংপুরের দুরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। এবার Z বললেন আপনারা সিলেট থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে আছেন। A তার মানচিত্রে আবার সিলেটকে কেন্দ্র করে ১৭০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ মেনে একটি বৃত্ত আকল। এই নিয়মে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৃত্ত তিনটি পরস্পরকে শুধু একটি বিন্দুতে ছেদ করেছে, সেটি হল শরীয়তপুর। তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু থেকে X, Y এবং Z তিনজনের তথ্যই সঠিক সেটা বোঝা গেল।
তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু
তিনটি বৃত্তের ছেদবিন্দু
এখন আমরা এভাবে বলতে পারি যে, X, Y এবং Z নামের তিনটি স্যাটেলাইট থেকে প্রেরিত বিশেষ তথ্য A নামের GPS রিসিভার গ্রহণ করে গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবের মাধ্যমে ডিজিটাল মানচিত্রে আপনার বর্তমান অবস্থানটি উল্লেখ করার যে পদ্ধতি বা প্রযুক্তি তারই পূর্ণনাম গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা সংক্ষেপে জিপিএস। আপনার স্মার্টফোনের সাহায্যেই এই চমৎকার সেবা সম্পর্কে জানতে পারেন, এখনই!