Showing posts with label ভিন্ন খবর. Show all posts
Showing posts with label ভিন্ন খবর. Show all posts

Monday, January 28, 2019

শনির উপগ্রহে হঠাৎ বৃষ্টি!!

শনির উপগ্রহে হঠাৎ বৃষ্টি!!



এই প্রথম এই সৌরমণ্ডলের কোনো চাঁদে দেখা গেল বৃষ্টি। সেটাও আবার গ্রীষ্মকালে।
বৃষ্টির আগে কোনো মেঘের চিহ্নমাত্র থাকে না আকাশে।   আর সেই বৃষ্টিতে আকাশ থেকে জল নেমে আসে না। নেমে আসে তরল মিথেন। তবে তা আকাশের ঠিক কোথা থেকে নেমে আসছে, কেন নেমে আসছে, জানা যায়নি। পৃথিবীর বৃষ্টির ফোঁটার থেকে অনেক ধীরে ধীরে সেই মিথেন বৃষ্টির ফোঁটা নামে। সম্প্রতি শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানে এমন ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছে নাসার 'ক্যাসিনি' মহাকাশযান।
ক্যাসিনির পাঠানো ছবি ও তথ্য থেকে জানা গেছে, ওই বৃষ্টির পরেই ঠান্ডার মৌসুম চলে গিয়ে পুরোপুরি গরম পড়ে শনির বৃহত্তম চাঁদ টাইটানের উত্তর মেরুতে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল 'জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স'এ। যার মূল গবেষক ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভারতীয় বংশোদ্ভূত রজনী ধিংড়া।
মেঘ ছাড়া সেই বৃষ্টি হচ্ছে কীভাবে টাইটানের উত্তর মেরুতে, তা নিয়ে যথেষ্টই ধন্দে পড়ে গিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই সৌরমণ্ডলের আর কোনো চাঁদেই এর আগে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়নি। এমনকী, শনির চাঁদ টাইটানের দক্ষিণ মেরুতেও এর আগে যে বৃষ্টি পড়তে দেখা গিয়েছিল, তা কিন্তু গ্রীষ্মকালে হয়নি। 

আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন থেকে রজনী বলেছেন, 'এমন কোনো ক্লাইমেট মডেল নেই, যেখানে বলা আছে, মেঘ ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির জন্য সব সময়েই মেঘের প্রয়োজন। কিন্তু কেন, কী ভাবে টাইটানের উত্তর মেরুতে গ্রীষ্মকালে কোনো মেঘ ছাড়াই বৃষ্টি হয়, তা এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। এও জানতে পারিনি কেন সেই বৃষ্টি হয় গ্রীষ্মকালে। '
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে শনির চাঁদ টাইটানের বায়ুমণ্ডলের মিল রয়েছে অনেকটাই। পৃথিবীর মতোই টাইটান পাথুরে। পৃথিবীর শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার মতো নানা ঋতু রয়েছে টাইটানেও। তবে সেগুলির মেয়াদ কিন্তু অনেকটাই। পৃথিবীর কয়েকটা বছর সেখানে একটা ঋতু। পৃথিবীর স্বাভাবিক জল-চক্রের মতো একটা চক্র বা সাইক্‌লও রয়েছে টাইটানেও। তবে সেটা জলের নয়, মিথেনের মতো তরল হাইড্রোকার্বনের।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, পৃথিবীর চেয়ে অনেক কম পরিমাণে বৃষ্টি হয় টাইটানে। টানা ১৩ বছর শনি আর তার চাঁদ টাইটানের উপর নজর রেখেছিল ক্যাসিনি মহাকাশযান। কিন্তু ওই ১৩ বছরে বড়জোর ৭/৮ বার তার নজরে পড়েছিল টাইটানের বৃষ্টি। পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের সাত ভাগের এক ভাগ টাইটানের অভিকর্ষ বল। তাই পৃথিবীর আকাশ থেকে যে গতিতে নেমে আসে বৃষ্টির জলের ধারা, টাইটানে নেমে আসা বৃষ্টির ধারা তার চেয়ে নামে অনেক ধীরে ধীরে। সেই ঘটনাকে দেখতে লাগে আমাদের তুষারপাতের মতো।
তা হলে কি বৃষ্টির আগে কোনো মেঘই হয় না টাইটানে? বিজ্ঞানী রজনী ধিংড়া বলেছেন, 'সেটা এখনও আমাদের কাছে একটা জটিল রহস্য। আলোর দুই-একটা তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সেই মেঘের মতো একটা কিছুর আভাস পেলেও, সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সেই মেঘ দেখা যায়নি। আমাদের আরও অবাক করেছে টাইটানের দক্ষিণ মেরু। সেখানে কিন্তু মেঘ ছাড়া বৃষ্টি হয় না কখনও। তাহলে, কেন উত্তর মেরুতে মেঘ ছাড়া বৃষ্টি হয়, এখনও পরিস্কার নয়। 

Saturday, January 26, 2019

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার কি বলেছিল?- জেনে নিন।

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার কি বলেছিল?- জেনে নিন।


মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজেন্ডার তার সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
★ আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছেঃ-
শুধু আমার চিকিৎসকরাই আমার কফিন বহন করবেন।
★ আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছেঃ-
আমার কফিন যে পথ দিয়ে যাবে সেই পথে আমার অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে।
★ আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছেঃ- 
কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখবে।’
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন।
দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন:- আমি দুনিয়ার সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই
 আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই কারনে বলেছি যে,  যাতে লোকে বলতে পারে যে চিকিৎসক মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না। তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।
 যাবার পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি যে সোনা-দানার একটা কণাও আমার সঙ্গে যাবে না। এগুলো পাওয়ার জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না। মানুষ বুঝুক এসবের পেছনে ছোটা মানে সময়ের অপচয়।’
 কফিনের বাইরে আমার হাত ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে বুঝানোর জন্য যে , পৃথিবীতে খালি হাতে এসেছি আজ পৃথিবী থেকে খালি হাতেই চলে যাচ্ছি।

তথ্যবিষয়/সুজন

Monday, January 14, 2019

ভালোবাসা দিবস এখন "বোন" দিবস!

ভালোবাসা দিবস এখন "বোন" দিবস!

প্রতিবছর ভালোবাসা দিবস পালন নিয়ে পাকিস্তানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। কেউ এটা স্বচ্ছন্দে পালন করেন, আবার কেউ বিরোধীতা করেন। পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলো ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁ-বেকারিতে ভালোবাসা দিবসে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে বিরোধীরা দেশব্যাপী ‘ভালোবাসা দিবসকে না বলুন’-এর প্রচার চালায়।
পাকিস্তানে উন্মুক্ত স্থান ও সরকারি অফিসে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ২০১৭ সালে। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের এ সিদ্ধান্ত সারা দেশে ‘দ্রুত কার্যকর করতে’ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারির ১৪ 'ভালোবাসা দিবসের' এই নিয়মকে পাল্টাতে চাচ্ছে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ইউনির্ভার্সিটি অব এগ্রিকালচার। ইসলামি ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে ভালোবাসা দিবসকে ‘সিস্টারস ডে বা বোন দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য জাফর ইকবাল ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সিস্টারস ডে’ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিস্টারস ডে পালনের সময় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের স্কার্ফ ও আবায়াহ (বোরকার মতো এক ধরনের পোশাক) উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য জাফর ইকবাল বলেন, ভালোবাসা দিবসকে সিস্টারস ডে হিসেবে পালন করাটা হবে পাকিস্তান ও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’


Monday, January 7, 2019

নুহ (আ) নবীর নৌকার প্রতিরুপ তৈরি কাঠমিস্ত্রির!!

নুহ (আ) নবীর নৌকার প্রতিরুপ তৈরি কাঠমিস্ত্রির!!


নেদারল্যান্ডসের কাঠমিস্ত্রি জোহান হুইবার নুহ (আ.)-এর সে নৌকার (কল্পনাপ্রসূত) একটি প্রতিরূপ তৈরি করেছেন। নৌকাটি ৪১০ ফুট লম্বা হওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক তলা ৯৫ ফুট প্রশস্ত ও ৭৫ ফুট উচ্চতায় তিন তলা বিশিষ্ট।

তৈরির পর দুই হাজার ৫০০ টনের নৌকাটি পানিতেও ভাসানো হয়েছে। শিল্পী জেহান জানিয়েছেন, বাইবেলে বর্ণিত পরিমাণ মাফিক নিখুঁত ও পুঙ্খানোপুঙ্খভাবে তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে এটি। নবী নুহ (আ.)-এর সে নৌকার আদলে জোহানের নৌকাটিতেও কাঠের তৈরি বিভিন্ন প্রজতির প্রাণী রাখা হয়েছে।
নৌকাটির নির্মাণকাজে সর্বমোট খরচ পড়েছে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে এটি রাখা হয়েছে। ২০১২ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার পর্যটক জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন।

Friday, December 28, 2018

পৃথিবী গোল কেন?জেনে নিন।

পৃথিবী গোল কেন?জেনে নিন।

বিজ্ঞান বলে, মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে একদিন এই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল। প্রথমে মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ছিল বিশাল। বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব দ্রুত প্রসারিত হয়। তত এর তাপমাত্রা কমতে থাকে। তাপমাত্রা কমার পর প্রথমেই সৃষ্টি বস্তুকণা। কোয়ার্ক, প্রোটন, ইলেক্ট্রন, নিউট্রন, নিউট্রোনো ইত্যাদি। কণাগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর ওদের ভেতর আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। এই আকর্ষণ বল হলো মহাকর্ষ বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল। বস্তুকণা পরস্পরের কাছাকাছি আসতে শুরু করে। তাপমাত্রা তখনও কমছে। ফলে বস্তুকণাগুলো আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। কণাগুলো যত কাছাকাছি আসে, তাদের ভেতর আকর্ষণ বলও তত শক্তিশালী হয়। ফলে ইলেক্ট্রন, প্রোট্রোন আর নিউট্রন মিলে জন্ম হয় গ্যাসীয় পরমাণুর। কাছাকাছি পরমাণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। ফলে ঘন হতে শুরু করে গ্যাসীয় পরমাণুগুলো। 
ধীরে ধীরে মহাশূন্যের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের পরমাণুগুলো যুক্ত হয়ে তৈরি করে বিরাট গ্যাসের গোলক। বিশাল তাপমাত্রার গোলক। এই গোলকগুলো হলো একেকটা নক্ষত্র। তারপর নক্ষত্রগুলোর ভেতরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। নক্ষত্রগুলোর ভেতর নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বলে নক্ষত্রগুলো। সেসময় অনেক ছোট ছোট গ্যাস পিন্ডেরও জন্ম হয়। সেগুলো তাপমাত্রা কমতে কমতে একসময় গ্যাসীয় পরমাণুগুলো ঠান্ডা হয়ে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। তৈরি হয় গ্রহ। তেমনই এক গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবী গোল কেন? বাঁকাও তো হতে পারত?
পারত। কিন্তু হয়নি। কারণ, গ্যাসীয় পরণুগুলো যত আসার সময় এর একটা পরমাণুর চারপাশে অংসংখ্য পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলাকার আকৃতি পায়। সেই পরমাণু গোলককে ঘিরে আরও অনেক পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলকটা আরও বড় হয়। এভাবে এক সময় বিরাট গোলক তৈরি হয়। ফলে নক্ষত্রগুলো হয় গোলাকার। আবার ছোট গ্যাসপিন্ডগুলো ঠান্ডা হলে ও ওদের আকার গোলই থাকে। অন্য সহ-উপগ্রহ নক্ষত্রের মতো পৃথিবীও গোলাকার।
অক্সফোর্ড ডিকশনারির সেরা শব্দ TOXIC.

অক্সফোর্ড ডিকশনারির সেরা শব্দ TOXIC.

টক্সিক বা বিষাক্ত এটিই এবছর অক্সফোর্ড ডিকশনারির বছরের সেরা শব্দ হিসেবে  নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) অক্সফোর্ড ডিকশনারির টুইটার পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
অক্সফোর্ড ডিকশনারির টুইটার পেজে বলা হয়েছে, বৈচিত্রময় ব্যবহারের কারণেই সেরার তালিকায় উঠে এসেছে শব্দটি। বিভিন্ন পরিস্থিতি, ঘটনা ও বিষয়কে বর্ণনা করতে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
অক্সফোর্ড ডিকশনারি বলছে, এত দিন শুধুমাত্র পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনায় ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে রূপক অর্থে টক্সিক শব্দটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাদের মতে, এবছর সবচেয়ে বেশী সংখ্যক লোক বিভিন্ন অবস্থা বর্ণনা করতে শব্দটি ব্যবহার করেছে। সংস্কৃতি, সম্পর্ক, হতাশা, কর্মক্ষেত্র এমনকি স্কুলকে বর্ণনা করতেও টক্সিক শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
অক্সফোর্ড ডিকশনারির মতে, বর্তমানের বহুল আলোচিত মি টু আন্দোলনের ফলে ‘টক্সিক মাসকুলিনিটি’ বা ‘বিষাক্ত পৌরুষ’ আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। আবার রাজনীতিতে বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব, পলিসি, এজেন্ডা টক্সিক হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি ব্যবহৃত হওয়ার যে অভাবনীয় ক্ষমতা শব্দটির রয়েছে সেটিই একে সেরা শব্দ করেছে।
মাটির নিচে ১৬ তলা হোটেল

মাটির নিচে ১৬ তলা হোটেল

চীনের সাংহাই শহরের কাছে সংজিয়াং জেলার খনি অঞ্চলে একটি ২১ তলা হোটেল হচ্ছে। হোটেলটির ১৯ তলাই মাটির নিচে  থাকবে। আর উপরে থাকবে মাত্র দুটি তলা।
ওই খনি এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। অনবরত মেশিনের শব্দ আর কালো ধোঁয়ায় জ্বালাতন থেমেছে। আনাগোনা নেই শ্রমিকদেরও। ওই এলাকার আশেপাশে শ্রমিকরা বসবাস করতেন।
 ২০১৮-র মে মাস থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে এই হোটেল।  আর এখন  রুক্ষ এই খনি অঞ্চল হয়ে উঠবে  আরও মনোরম ও মনোমুগ্ধকর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিলাসবহুল এই অভিনব হোটেলে নিয়মিত ছুটি কাটাতে আসবে পর্যটকেরা। এমন্টাই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। 
এই হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের নভেম্বরে। হোটেলটির বৈশিষ্ট্য শুনলে আপনি অবাক হবেন। কারণ, হোটেলের পুরোটাই মাটির নিচে । ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটার গভীর খনির ৮০ মিটার নিচে  পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে হোটেলটি। হোটেলের বেশ কিছুটা অংশ রয়েছে জলের নিচে ও। আর এটাই এই হোটেলের প্রধান আকর্ষণ। ব্রিটিশ সংস্থা আটকিনস্ এই হোটেলের নকশা বানিয়েছে।
হোটেলটির নামেই অবশ্য তার বৈশিষ্ট্যের আভাস পাওয়া যায়। হোটেলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিপ পিট হোটেল’। ২১ তলা হোটেলের ১৭টি ফ্লোর মাটির নিচে, দু’টি ফ্লোর পানির তলায় এবং দু’টি ফ্লোর মাটির উপরে।
হোটেলটিতে সব মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য ৩৮৩টি রুম রয়েছে। হোটেলের মাঝখানে কাচের তৈরি কৃত্রিম জলপ্রপাত রয়েছে। হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে উপরে তাকালে মনে হবে, ঠিক যেন পাহাড়ের গা বেয়ে ৮০ ফুট নিচে গভীর খাদে নেমে আসছে জলপ্রপাতটি।
হঠাৎ খনিকে বিলাসবহুল হোটেলে পরিণত করা হল কেন? আগে পুরোমাত্রায় সচল থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্তই ছিল ওই খনি এলাকাটি। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত চীনের।

Thursday, December 20, 2018

কুকুর পেল ডিপ্লোমা ডিগ্রি

কুকুর পেল ডিপ্লোমা ডিগ্রি



কুকুর পেয়েছে ডিপ্লোমা ডিগ্রি। আর কুকুরের মালিক পেয়েছেন মাস্টার্স ডিগ্রি। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের উইলসন শহরের। এ শহরের বাসিন্দা ব্রিটানি হলওয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অকুপেশনাল থেরাপির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একই দিনে একই বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটানির সেবক কুকুরকে সম্মানসূচক ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। চার বছর বয়সী এই কুকুরের বিরল অর্জনে যারপরনাই খুশি তার মালিক ব্রিটানি। 


কোমরের নিচে তীব্র ব্যথার কারণে হুইলচেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারতেন না ব্রিটানি। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘পস ফর প্রিজনস’ নামের একটি প্রকল্পের কাছে একটি সেবক কুকুরের (service dog) জন্য আবেদন করেন তিনি। প্রকল্পটিতে কারাবন্দি আসামিরা কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিতেন। সেখানে  পছন্দের মালিক খুঁজে নেয়ার সুযোগ দেওয়া হতো খোদ কুকুরকেই। ব্রিটানি বলেন, অনেক কুকুর তাঁর হুইলচেয়ার দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গ্রিফিন একদম সোজা তাঁর কোলে উঠে চাটতে শুরু করে। সেই থেকেই শুরু দুজনের এক সঙ্গে পথচলা। 

ব্রিটানি বলেন, হয়তো তিনি সেলফোনটা খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রিফিন সঙ্গে সঙ্গেই সেটা খুঁজে এনে দিত হাতে। গ্রিফিন তাঁর জন্য দরজা খোলা, লাইট জ্বালানো সব করত। যে জিনিসটি আনতে হবে, লেজার রশ্মি ফেলে দেখিয়ে দেওয়া মাত্রই হাজির করত গ্রিফিন। ব্রিটানির মতে, গ্রিফিনের সবচেয়ে বড় গুণ তার একসময়ের দুশ্চিন্তাপূর্ণ বিষময়য় জীবন নির্ভরতা ও প্রশান্তি এনে দিয়েছে সে।