Totthobisoy.ml: Science Method

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
Showing posts with label Science Method. Show all posts
Showing posts with label Science Method. Show all posts

Monday, January 28, 2019

ডেলিভারী শুরু করলো স্কাউট রোবট!!

ডেলিভারী শুরু করলো স্কাউট রোবট!!


গ্রাহকের দরজায় ডেলিভারির জন্য নতুন রোবট নিয়ে এল ই-কমার্স জায়েন্ট অ্যামাজান।  আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল শহরতলিতে এই রোবট পরীক্ষামুলকভাবে চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।
নীল রঙের এই রোবটে থাকছে ছয়টি চাকা। পাশে থাকছে কোম্পানির লোগো। কোম্পানি জানিয়েছে ফুটপাথ দিয়ে গিয়ে গ্রাহকের দরজায় ডেলিভারি করতে পারবে এই রোবট।
কোম্পানি জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় এই রোবটের সাথে একজন কর্মী থাকবেন। তবে কীভাবে এই রোবট কাজ করবে তা জানায়নি অ্যামাজান।
ইতিমধ্যেই একাধিক কোম্পানি বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে এই ধরনের রোবট দিয়ে পরীক্ষামুলকভাবে খাবার ডেলিভারি করছে।
অ্যামাজান জানিয়েছে স্কাউট নামের এই রোবট ফুটপাথে পথচারি বা কুকুরকে ধাক্কা মারবে না।

Tuesday, January 15, 2019

ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে কানাডায়!

ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে কানাডায়!

পৃথিবী ভিন্ন অন্য গ্রহগুলোতে কোনো প্রাণী রয়েছে কীনা তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। কল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্রে কখনো কখনো ভিনগ্রহীদের চোখে পড়ে। কিন্তু বাস্তবে এখন পর্যন্ত মানুষ সত্যিকার অর্থে ভিনগ্রহীর দেখা পায়নি। তবে এবার বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের সাহায্যে ভিনগ্রহীর অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছেন। ‘কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (কাইম)’ প্রকল্পের টেলিস্কোপের নজরে ধরা পড়া সেই আলোকে একটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই দু’মাসের মধ্যে অন্তত ১৩ বার জ্বলতে আর নিভতে দেখা গিয়েছে। সেই আলোকে একই জায়গায় অন্তত ৬ বার জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওই আলোর ঝলকানিগুলির ‘কারিগর’ আসলে ভিনগ্রহীরা! তারাই বোধহয় বিশাল বিশাল আতসবাজি ফাটাচ্ছে! সেটাই অত শক্তিশালী, অত উজ্জ্বল আলোর ঝলক তৈরি করছে। আর এই এফআরবিকেই ভিনগ্রহীর সঙ্কেত বলে মনে করছেন তারা।আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শমী চট্টোপাধ্যায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কোথা থেকে এমন ভিনগ্রহীর আলো আসছে তা নিয়ে জানাতে সক্ষম হয়েছেন। গত সপ্তাহে সিয়াটেল, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২৩৩তম বৈঠকে সেই পর্যবেক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্র প্রকাশিত হবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাশূন্যে কখনো কখনো এমন কিছু আলো জ্বলে যেগুলো প্রাকৃতিক আলো নয়। এই আলোর উৎস আসলে ভিনগ্রহীরা। এই ধরনের আলোকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ (এফআরবি)। আতসবাজির মতো সেই আলো যতই ক্ষণস্থায়ী হোক, কয়েক লহমায় তা যে পরিমাণ তাপশক্তি মহাশূন্যে ছড়িয়ে দেয় তা, আমাদের সূর্যের ছড়ানো আলোর শক্তির (তাপ) চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
এই গবেষণায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অনাবাসী শ্রীহর্ষ তেন্ডুলকার। গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ১২ বছরে এমন এফআরবি বা ভিনগ্রহীদের আলো বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেখা গিয়েছে কম করে ৬০টি। এই আলো দেখা দেওয়ার কয়েক মুহূর্তেই উধাও হয়ে গিয়েছে তাই এতদিন বোঝা যায়নি কোথা থেকে আসছে সেই আলো। কিন্তু গত দুই মাসে অন্তত ১৩ বার এই ধরনের ভিনগ্রহী আলো দেখা গেছে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে।
অধ্যাপক শমী চট্টোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) কী জিনিস। তার মতে, এফআরবি আসলে একটা অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ। যা গোটা ব্রহ্মাণ্ডেই ছড়িয়ে রয়েছে। আতসবাজি ফাটানো হলে যেমন হয়, তেমনই খুব শক্তিশালী, অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোর ঝলক। যাকে বলা হয়, ‘লাইট ফ্ল্যাশেস’। প্রতি দিন ব্রহ্মাণ্ডে এমন আলোর ঝলকানির ঘটনা ঘটে গড়ে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজারটি। কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের অনেক দূরের সেই আতসবাজির আলোর ঝলক আমাদের চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। ২০০৭ সালে তা প্রথম আমাদের নজরে আসে।

শমীর কথায়, ওই রেডিও তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ থেকে ২ গিগাহার্জ বা ২ থেকে ৪ গিগাহার্জ। আর তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে। একেবারে আলোর গতিতেই ছোটে এই তরঙ্গ। আর মূলত তা আলোক-কণা ‘ফোটন’ দিয়েই তৈরি। একটা সূর্যের মোট আয়ুষ্কালে যতটা শক্তির নিঃসরণ হয়, তাকে ১০-এর পিঠে ৩৮টা শূন্য বসিয়ে যে সংখ্যাটা হয়, তা দিয়ে গুণ করলে শক্তির যে পরিমাণ হয়, ওই আলোর ঝলকানি থেকে প্রতি মিলি-সেকেন্ডে তৈরি হয় সেই বিপুল পরিমাণ শক্তি।
সূত্রঃ-ইত্তেফাক 

Friday, January 11, 2019

জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা-০২

জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা-০২


জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা প্রথম পর্বে আপনাদের স্বাগতম।আমরা এই নিয়ে ক্রমান্বয়ে পোস্ট করবো।আশা করি আপনারা আমাদের উৎসাহ প্রধান করবেন।  জ্ঞান বিজ্ঞানের পর্ব গুলো মূলত বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে সাজানো।আজকে আমরা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো বিশেষ করে যারা ছাত্র আছো তোমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

০১. ইলিশ মাছ কেন নদীতে আসে?
সমাধানঃ- ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার জন্য নদীতে আসে।

ইলিশ সামুদ্রিক মাছ তথা লবণাক্ত পানির মাছ হলেও ডিম ছাড়ার সময় নদীতে আসে। কারন সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে, যা ডিম নষ্ট করে ফেলে। ফলে ঐ ডিম থেকে পোনা মাছ তৈরি হতে পারে না। তাই প্রকৃতির নিয়মেই ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য নদীর মিঠা পানিতে আসে। 

০২. পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন??
সমাধানঃ- পানি সব রকমের পদার্থ দ্রবীভূত করতে পারে বলে পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

পানি একটি দ্রাবক পদার্থ। কারণ পানি বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যকে দ্রবীভূত করতে পারে এবং দ্রবণ তৈরি করতে পারে।পানি যেমন অজৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে তেমনি জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। প্রায় সকল পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে বলেই পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।


আগামী পর্বে আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো।
ধন্যবাদ           

Wednesday, January 9, 2019

জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা-০১

জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা-০১


জ্ঞান-বিজ্ঞানের জানা অজানা প্রথম পর্বে আপনাদের স্বাগতম।আমরা এই নিয়ে ক্রমান্বয়ে পোস্ট করবো।আশা করি আপনারা আমাদের উৎসাহ প্রধান করবেন।  জ্ঞান বিজ্ঞানের পর্ব গুলো মূলত বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে সাজানো।আজকে আমরা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো বিশেষ করে যারা ছাত্র আছো তোমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


০১. জাঙ্ক পুড ক্ষতিকর কেন??
উত্তরঃ- জাঙ্ক পুডে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থসহ চর্বি ও চিনি থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট পুড হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার যার স্বাস্থ্যগত মূল্যের চেয়ে মুখরোচক স্বাদ বেশি।
জাঙ্ক ফুডে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা দেহে জটিল রোগের সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া এতে অতিরিক্ত প্রাণিজ চর্বি ও চিনি থাকে।এর ফলে জাঙ্ক ফুড খেলে বাড়ন্ত বয়সের ছেলে-মেয়েরা স্থুলকায় হয়ে পড়ে।
মূলত এসব কারনেই জাঙ্ক ফুড মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

০২.ড্রাগের উপর কোনো ব্যক্তির নানাভাবে জাগতে পারে কেন??
 উত্তরঃ- ড্রাগ এমন সব পদার্থ যা জীবিত প্রাণী গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন আসে। ড্রাগের উপর কোনো ব্যক্তির আসক্তি নানাভাবে জাগতে পারে। যেমন-কৌতূহল,সঙ্গদোষ,হতাশা দূর করার জন্য,মানসিক যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য,নিজেকে বেশি কার্যক্ষম করার উদ্দেশ্য,পরিবারের অশান্তি এবং পারিবারিক অভ্যাসগত কারণে।বাব মা কোনো মাদকে আসক্তি থাকলে তার সন্তান ওই মাদকে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই দুটি প্রশ্ন সাম্প্রতিক অতি কমন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।অনেকেই এই দুটো প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন তাই দুটো প্রশ্নের উত্তর দিলাম।
আগামী পর্বে আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো।                                                       

Monday, January 7, 2019

মঙ্গল গ্রহকে লাল দেখা যায় কেন??

মঙ্গল গ্রহকে লাল দেখা যায় কেন??

কম বেশি সবাই আমরা মঙ্গল গ্রহ সম্বন্ধে জানি।বিজ্ঞানীরা বলতেছে মঙ্গল হবে আমাদের দ্বিতীয় বাসভূমি।
আচ্ছা যাই হোক এখন আমরা জানবো
 মঙ্গল গ্রহ লাল দেখা যায় কেন???

উত্তর টা জেনে নিন বিজ্ঞানের ভাষায়---- 
উত্তরঃ- মঙ্গলপৃষ্ঠের বালুকাময় মাটি ও পাথরের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে রক্তাক্ত-বাদামী বর্ণের আয়রন-অক্সাইড।
মঙ্গল গ্রহে মধ্যাকর্ষণ শক্তি দুর্বল থাকায় লাল বালুকা দীর্ঘ সময় বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে।ফলে লাল বালুকাময় বহির্ভাগ ও বায়ুমণ্ডলে লাল বালুকার উপস্থিতির কারণে মঙ্গল গ্রহ লাল দেখায়।
                         

Tuesday, January 1, 2019

কেক, বিস্কুট ও পাউরুটির ময়দার সাথে বেকিং সোডা মেশানো হয় কেন?

কেক, বিস্কুট ও পাউরুটির ময়দার সাথে বেকিং সোডা মেশানো হয় কেন?

বিজ্ঞান- কেক,বিস্কুট ও পাউরুটি ফোলানোর জন্য এদের ময়দার সাথে বেকিং সোডা মেশানো হয়।

বেকিং সোডার মূল উপাধান সােডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCo3)। একে কেক, বিস্কুট ও পাউরুটির ময়দার সাথে মিশিয়ে তাপ দেওয়া হলে এটি বিযোজিত হয়ে সোডিয়াম  কার্বনেট,  কার্বন -ডাইঅক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।

উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ময়দাকে ফুলিয়ে দিয়ে উড়ে যায়। তাই কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি ফোলাতে এদের ময়দার সাথে বেকিং সোডা (NaHCo3) মেশানো হয়।        

Wednesday, December 26, 2018

সময়ের নতুন একক এসে গেলো জেনে নিন।

সময়ের নতুন একক এসে গেলো জেনে নিন।


সময়ের নতুন একক এসে গেছে।ঘন্টা,মিনিট,সেকেন্ডের মতো সময়ের আরেকটি একক খুঁজে নিয়েছে ফেসবুক।

২২জানুয়ারি ২০১৮ ঘোষণা দেয়া নতুন এককটির নাম "ফ্লিক"। এটা ন্যানো সেকেন্ডের ছেয়ে কিছুটা বড়। ১সেকেন্ডের ৭০ কোটি ৫৬ লাখ ভাগের এক ভাগকে " ফ্লিক বলা হচ্ছে।

অন্যদিকে ন্যানো সেকেন্ড হলো ১ সেকেন্ডের ১০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ।সময়ের এ এককটি মুলত প্রোগ্রামের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

আবিষ্কারক -- ফেসবুক প্রকৌশলী ক্রিস্টোফার হোরভাথ সময়ের এই এককের আবিষ্কর্তা।

Thursday, December 20, 2018

নক্ষত্রের অস্বাভাবিক রশ্মি নিয়ে ধন্দে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

নক্ষত্রের অস্বাভাবিক রশ্মি নিয়ে ধন্দে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত নাসার হাবল টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিতে এই অস্বাভাবিক ঘটনা ধরা পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের দল মনে করছে, অতি ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের পরিণতি কোন দিকে গড়ায়, এ থেকে তার কিছু ধারণা পাওয়া যাবে।
সুপারনোভার মাধ্যমে যখন বিশাল আকৃতির নক্ষত্রগুলোর মৃত্যু ঘটে, তখন সেই নক্ষত্র তার সমস্ত বস্তু নিয়ে নিজের ভেতরেই নিজে আছড়ে পড়ে। এই আছড়ে পড়া কেন্দ্রীয় অঞ্চলটি তখন অতি উচ্চগতিতে বনবন করে ঘুরতে থাকে আর তা থেকে স্পন্দনের মতো বিকিরণ নির্গত হয়। এ জন্য এগুলোর আরেকটি নাম পালসার।
নিউট্রন নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা হয় সাধারণত এক্স-রে টেলিস্কোপ ও বেতার তরঙ্গ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। এখন অবলোহিত রশ্মিও যদি এগুলোর মধ্য থেকে নির্গত হয়, সে ক্ষেত্রে এগুলোকে পর্যবেক্ষণের নতুন একটি জানালা খুলে যাবে।
যে নক্ষত্রটি থেকে অবলোহিত রশ্মি পাওয়া গেছে, সেটির কেতাবি নাম আরএক্স জে ০৮০৬.৪-৪১২৩ আর সেটা পালসারের এমন একটি দলের সদস্য, যে দলকে দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন বা সাত জাঁদরেল নামে ডাকা হয়। বয়সের অনুযায়ী যতটা উত্তপ্ত থাকার কথা, এগুলো তার চেয়ে অনেক উত্তপ্ত। অর্থাৎ এগুলো অনেক দুরন্ত।
এ পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। কিন্তু ধন্দ লাগছে এটির অস্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নিয়ে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, এই বাড়তি উজ্জ্বলতার পেছনে বাড়তি কোনো কারণ থাকতেই হবে। না হলে ব্যাখ্যা করা মুশকিল।
এই উজ্জ্বল বিকিরণ শনাক্ত করেছে বিজ্ঞানীদের যে দল, তার নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক বেটিনা পোসেল্ট। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলেন, একটা তত্ত্ব হলো, সুপারনোভার পর নক্ষত্রটির চারপাশে বস্তুরাজি এসে জড়ো হয়েছে। সেগুলো একটি চাকতির মতো আকার নিয়ে ঘুরছে। দুটির মধ্যে টানাপোড়েনে পালসার নক্ষত্রটি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে কমে গেছে এটির ঘূর্ণনের গতি।
এই অনুমান সত্যি হলে নিউট্রন নক্ষত্রের বিকাশ ও পরিণতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের পুরোনো ধারণায় পরিবর্তন আসবে।
দ্বিতীয় আরেকটি তত্ত্ব হলো এটির পেছনে ক্রিয়াশীল পালসার ঝড় নীহারিকা। এটিতে বলা হচ্ছে, নক্ষত্র থেকে ছুটে আসতে থাকা চার্জিত কণিকাগুলো মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা গ্যাসের সঙ্গে ঘর্ষণ লেগে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং অবলোহিত রশ্মি ছড়াচ্ছে।
সত্যিকারে কী ঘটছে, তা জানতে হলে বিজ্ঞানীদের নতুন আরেকটি টেলিস্কোপ বসানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সুত্র: প্রথম আলো
নতুন সংজ্ঞায় কিলোগ্রাম

নতুন সংজ্ঞায় কিলোগ্রাম

১ কিলোগ্রাম=১০০০ গ্রাম---আমরা প্রায় সবাই জানি।এখন আমরা জানবো কখন,কিভাবে এটি সংজ্ঞায়িত হয়েছিল এবং কেন এটি নতুন করে  সংজ্ঞায়িত করা হবে।বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।



১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে রক্ষিত প্লাটিনাম-ইরিডিয়ামের সংকর ধাতুর একটি সিলিন্ডারকে কিলোগ্রামের নমুনা হিসেবে ধরা হয়েছিল।সেই ভরের সাপেক্ষেই এত দিন সংজ্ঞায়িত করা হতো কিলোগ্রামকে। কিন্তু ২০ মে ২০১৯ বিশ্ব ওজন দিবসে বদলে যাবে কিলোগ্রামের সেই  সংজ্ঞা।


১৬ নভেম্বর ২০১৮ ফ্রান্সে অনুষ্টিত ওজন এবং পরিমাপ বিষয়ক ২৬তম সম্মেলনে ৬০ দেশের প্রতিনিধিরা কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞার পক্ষে রায় দেন। এর ফলে Le Grand K'র ওজন থেকে নয়,কিলোগ্রামকে সংজ্ঞায়িত করা হবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের আলোকে।


Le Grand K কী??
---------------------------

কাচের একটা জার, তার ভোতর আরেকটা ছোট জার,  তারও ভেতর আরও খানিকটা ছোট জার এবং তার ধাতব একটা পিন্ড। ফান্সের স্যাভ্রেতে Le Grand K বা Big K নামে পরিচিত এ পিন্ডটাই এতদিন কিলোগ্রাম বা এক কেজি ভরের মুল মান হিসেবে বিবেচিত হতো। বাড়ির বাজারে  যে বাটখারায় এক কেজি মাপা হয় সেগুলো ঐ Big k'র (কিলোগ্রাম 'কে' ) নকল কপি।   


কেন পরিবর্তন???---
-----------------------

Big k পিন্ডটা যেন কোনোভাবে ধুলাবালি, হাচি-কাশির সংস্পর্শে না আসে, সে জন্য ওরকম এিস্তরী জারের ভেতর পুরে রাখা হতো। কিন্তু দীর্ঘদিনের ব্যাবদানে যখন বের করা হয়েছে,তখন দেখা গেছে কিছুটা ভর হারিয়েছে দ্বিধাতব পিন্ডটা। মুলত এ কারনেই হাতে তৈরি কিলোগ্রামকে বদলে নিখুত এক মাপজোক পদ্ধতি গ্রহন করতে নেয়া হচ্ছে প্রকৃতির সাহায্য।।।



পোস্টটি আমি সম্পুর্ণ নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। যদি কোথাও ভুল এুটি চোখে পড়ে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।আর আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আরও বেশি করে পোস্ট দিতে পারি।
আল্লাহ হাফেজ।।।।