Showing posts with label Technology. Show all posts
Showing posts with label Technology. Show all posts

Wednesday, January 30, 2019

এক অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা।

এক অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা।


ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সেবা’র একটি অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা। অ্যাপটি তৈরির পর ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এটি উদ্বোধন করা হবে।
বুধবার রেলভবনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, আগামী এক বছরের মধ্যে রেলওয়ের জন্য তৈরি হবে এ অ্যাপটি।
রেলের বর্তমান সেবাকে আরও জনবান্ধব ও সহজ করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল রেলওয়ে যাত্রী সেবার সিস্টেম ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি এবং বাস্তবায়ন করবে।
এর পর এই অ্যাপের মাধ্যমেই ট্রেনের টিকিট বুকিং ও মূল্য পরিশোধ করে টিকিট সংগ্রহ, ট্রেনের অবস্থান জানা, ট্রেনের ভেতর খাবারের অর্ডার বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রেল পুলিশের সহযোগিতাসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি এ পদ্ধতি যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সহজে ব্যবহার করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে এই অ্যাপে।

Tuesday, January 29, 2019

মোবাইল চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে!!

মোবাইল চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে!!


স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত চাহিদার কারণে ফোনগুলোতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনী ফিচার। যে স্মার্টফোনের যত বেশি গ্রাহকবান্ধব ফিচার তার চাহিদা ও সাফল্য ততই বেশি। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রতিটি মোবাইল কোম্পানিই তাদের স্মার্টফোনে চমৎকার সব ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে। এই দৌড়ে গুরুত্ব পাচ্ছে পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, চার্জ আর স্টাইল।

গত কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কাজ করে যাচ্ছে, যেটাকে কোম্পানিগুলো বাজারে কুইক চার্জিং নামে পরিচিত করিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়, চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো কুইক চার্জিং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বেশ এগিয়ে আছে। দ্রুত চার্জিং এর জন্য কিছুদিন অপো বাজারে নিয়ে আসে ভিওওসি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে, সর্বোচ্চ ব্যাটারি চার্জিং শক্তি দিতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে বাই-সেল ব্যাটারি ডিজাইন, যেটি প্রায় ৫০ ওয়াটের কাছাকাছি। ভিওওসি প্রযুক্তিতে ৩৫ মিনিটে ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়। অপো’র সাম্প্রতিক সব স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি রয়েছে। মাত্র ১০ মিনিটে ৪০% চার্জ করা সম্ভব। আর ১০০ ভাগ চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, সেলফি এক্সপার্ট এবং লিডার হিসেবে অপো সবসময় তরুণ প্রজন্মের সময় উপযোগী চাহিদা বুঝে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন নিয়ে আসে। তারই অংশ হিসেবে অপো নিয়ে এসেছে সুপার ভিওওসি চার্জিং প্রযুক্তির স্মার্টফোন অপো আর১৭ প্রো। আমরা আশা করি, গ্রাহকরা অপো’র নতুন প্রযুক্তিসমূহ উপভোগ করবেন।’

অপো’র নতুন প্রযুক্তির ডিভাইসটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির জীবনকাল (লাইফস্পেন) বা কার্যকারিতার কোনো ক্ষতি না করে সফলভাবে নতুন স্মার্টফোনের সঙ্গে কাজ করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাটারি নিয়ে যে সমস্যা বা দুশ্চিন্তা রয়েছে তার একটি চূড়ান্ত সফল সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।

Sunday, January 27, 2019

সর্বাধিক ইন্টারনেট প্রোটোকোল যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশে।

সর্বাধিক ইন্টারনেট প্রোটোকোল যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশে।


ইন্টারনেট ব্যবহারের সর্বাধুনিক ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি অ্যাড্রেসিং পদ্ধতি আইপিভি-৬ এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পদ্ধতি চালু হলে দেশের সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে আসল আইপিভি ঠিকানা দেয়া সম্ভব হবে।

আইপিভি-৬ চালুর অন্য সুবিধার পাশাপাশি প্রতিটি ডিভাইসের অবস্থান শনাক্ত হওয়ায় ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’ পদ্ধতিতে সংঘটিত অপরাধসহ সব সাইবার অপরাধ কমে আসবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, বাংলাদেশ সর্বাধুনিক সংস্করণের তথ্যপ্রযুক্তি গ্রহণে পিছিয়ে থাকবে না। বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে সরকার। নতুন আইপিভি অ্যাড্রেসিং পদ্ধতিতে যেতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি স্ট্যাডি গ্রুপ গঠন করেছে।

এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমিশনের প্রকৌশল বিভাগের মহাপরিচালক। বাংলাদেশ এখনও আইপিভি-৪ অ্যাড্রেসিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। অথচ অনেক দেশেরই আইপিভি-৪ ঠিকানা ফুরিয়েছে।

কোনো কোনো দেশ পুরোপুরি আইপিভি-৬ ব্যবহার করছে। অনেক দেশে আইপিভি-৬ সবার কাছে না যাওয়ায় আইপিভি-৪ পদ্ধতিও পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্টাডি গ্রুপ ডিসেম্বর মাসে দুটি বৈঠকও করেছে। এতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, ইন্টারনেট গেটওয়ে ও মোবাইল ফোন অপারেটররা অংশ নেন।

বৈঠকগুলোতে আইপিভি-৬ গ্রহণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্বগুলো নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাই আইপিভি-৬ গ্রহণের সম্ভাব্য সমস্যা, চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সবার পক্ষ থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন কার্যক্রমের পরামর্শক সুমন আহমেদ সাবির। সাবির বিডিনগ বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এবং জাতিসংঘের ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে (আইজিএফ) মাল্টি স্টেকহোল্ডার অ্যাডভাইজরি গ্রুপের সদস্য। তিনি জানান, চাইলে ছয় মাসের মধ্যে দেশে আইপিভি-৬ চালু করা সম্ভব। চ্যালেঞ্জও খুব বেশি তাও নয়।
হারানো মোবাইল কিভাবে ফিরে পাবেন?দেখে নিন।

হারানো মোবাইল কিভাবে ফিরে পাবেন?দেখে নিন।


ফোন হারানোর যন্ত্রণা সবাইকে কখনো না কখনো পেতে হয়েছে। সোফার খাঁজে লুকাল, নাকি অফিসের ফাইলপত্তরের ভেতর, নাকি বাসাতেই রেখে এলেন নানা দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে আপনাকে। অন্য কোনো নম্বর থেকে ফোন করে নিশ্চিত হবেন, সে উপায়ও হয়তো নেই!

আর যদি প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি নতুন ফোন কেনার চিন্তা করে থাকেন তখন আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি।

কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারণ করে রাখে।

আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেক জনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না।

আবার এমন কিছু স্মৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষতভাবে। অন্তত পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়।

এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।

ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘গুগল’ এর একটি সেবা রয়েছে যার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের বর্তমান অবস্থান যানা যায়। তবে এটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য।

এ অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে মোবাইল ফোনের বর্তমান অবস্থান জানার সুযোগ পেতে হলে আপনার ফোনটি থেকে গুগল আইডি বা জিমেইল আইডি চালু লগইন থাকতে হবে।

আপনার জিমেইল আইডি যে ফোনে লগইন করা আছে সেই ফোনটি যদি হারিয়ে যায় তাহলে যেকোনো কম্পিউটার থেকে maps.google.com -এ ব্রাউজ করতে হবে।

এরপর আপনার হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি যে গুগল আইডি দিয়ে লগইন করা আছে, সেই অ্যাকাউন্টটিই ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। maps.google.com -এর উপরে বাম দিকে তিনটি সরলরেখার মতো চিহ্ন দেখতে পাবেন। ক্লিক করুন সেই চিহ্নে।

চিহ্নে ক্লিক করার পর ‘ইয়োর টাইমলাইন’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে। সেখান থেকে আপনি যে দিনের লোকেশন দেখতে চান, সেই দিনটি সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে গুগল ম্যাপের উপর আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের লোকেশন দেখতে পাবেন আপনি।

এছাড়া স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেই ওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা। কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।

আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরণ করতে পারেন।

নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি শনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিকভাবে রেজিস্টার করা।

এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।

সবশেষ সেট উদ্ধারের সব আশাই যদি জলাঞ্জলি দিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এটাই আপনার শেষ আশ্রয়। মোবাইলে থাকা মহাগুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন অন্য কারও হাতে না পড়ে, সে ব্যবস্থাও নিতে পারেন। (ERASE DATA) অপশনটি ব্যবহার করে, মোবাইলের সব ডেটা মুছে ফেলতে পারবেন।

মোবাইল যদি অফলাইনে থাকে, তবে যখনই অনলাইনে আসবে, সঙ্গে সঙ্গে সব তথ্য মুছে যাবে। তবে এর ফলে গুগলের সাহায্য নিয়ে আর সেট খুঁজে পাওয়ার উপায় খোলা থাকবে না।
তবে সেট খুঁজে পেলে জিমেইল আইডি দিয়ে আবারও ব্যবহার করতে পারবেন সেই সেট।

তথ্যবিষয়/স্টাফ রিপোর্ট। 
পাবজি এখন বিনামূল্যে।

পাবজি এখন বিনামূল্যে।


এবারে কম ক্ষমতাসম্পন্ন পিসি হার্ডওয়্যারেও চলবে জনপ্রিয় এই গেইমটি।  লাইট সংস্করণটি দিয়ে গেইমটির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ফোর্টনাইটের সঙ্গে আরও জোরালো প্রতিযোগিতায় নামার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
প্রতিযোগিতা কম থাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফোর্টনাইট। গেইমটি চালানো যায় প্রায় সব ডিভাইসেই। আর গেইমটি দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এবার একই পথে এগোচ্ছে পাবজি’ও।
মূল পাবজি থেকে পুরো আলাদাই থাকছে পাবজি লাইট। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিনামূল্যের সংস্করণটির জন্য পুরো আলাদা ডেভেলপার দল থাকবে , যারা মূল গেইমের মতোই ম্যাপ এবং অন্যান্য ফিচার আনতে কাজ করবে।
আপাতত থাইল্যান্ডে পাবজি লাইট বেটা সংস্করণে শুধু ইরাংগেল ম্যাপ চালু করা হয়েছে। সোলো, ডুয়ো বা স্কোয়াড মোডে গেইমটি খেলা যাবে। থাইল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া থেকে অন্যান্য দেশে লাইট সংস্করণ চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
আগের বছর দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘প্রিমিয়াম’ ’গেইমগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল পাবজি। ২০১৮ সালে গেইমটির আয় ছিল প্রায় ১০৩ কোটি মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে ফোর্টনাইট বিনামূল্যের গেইম হওয়া সত্ত্বেও আয় করেছে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পাবজি’র আয়ের প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।

Saturday, January 26, 2019

অতিরিক্ত সেলফি রোগের লক্ষণ! জেনে নিন।

অতিরিক্ত সেলফি রোগের লক্ষণ! জেনে নিন।


নতুন চাকরি থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়ি, মন খারাপ থেকে শুরু করে মন ভালো, নতুন জামা কেনা থেকে শুরু করে স্কুবা ড্রাইভিং সবখানেই সেলফি! শুরুতে সেলফি ব্যাপারটা মেয়েদের থাকলেও এখন ছেলেরাও পিছিয়ে নেই।
কিন্তু মূলত এক ধরনের অবসেসিভ ডিসঅর্ডারের জেরেই এই সেলফি তোলেন মানুষ। এবং তা এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যে, বিপজ্জনক সেলফি তোলা থেকেও বিরত হচ্ছে না মানুষ। তাতে প্রাণও যাচ্ছে, তবু হুঁশ ফেরে না। এবার এই সেলফি তোলার প্রবণতাকে অসুস্থতা হিসেবেই চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের একদল গবেষক তাদের গবেষণা শেষে প্রকাশ করেছে, সেলফি তোলা একটি মানসিক রোগ। এ গবেষক দল সেলফিতে আক্রান্ত হওয়া রোগের নাম দিয়েছেন সেলফাইটিস (Selfitis)।
এই সেলফির নেশা এক সময় মাদকের নেশার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সেলফি তোলা আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে উঠে এসেছে এ ভয়াবহ তথ্য। যারা সেলফি তোলে তারা মূলত এ সেলফিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য এক ধরনের পাগলামি করতে থাকেন।
গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন, এ সেলফাইটিস রোগের তিনটি ধাপ। ধাপগুলো হলো:
বর্ডার লাইন সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তা নিজের কাছেই রেখে দেবে। কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে না।
একিউট সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তিনটি ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
ক্রনিক সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা সারাদিনে নিয়ন্ত্রণহীন তাড়না বা ইচ্ছা থেকে বিরামহীনভাবে যখন তখন সেলফি তুলবে এবং দিনে অন্তত ছয়টি বা এর বেশি সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
অন্যদিকে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা খুব বেশি সেলফি তোলে তারা সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় প্রকাশ করে। তারা আরও বলেন, সেলফিতে আক্রান্তদের বেশিরভাগই কর্মজীবনে ও ব্যক্তিজীবনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় এবং সাধারণদের চেয়ে তাদের কনফিডেন্ট লেভেলও কম থাকে। তাই তারা অনেক সময় হতাশা বা মেন্টাল ডিপ্রেসনে আক্রান্ত হন। তাই যাদের খুব বেশি সেলফি তুলতে ইচ্ছা হয় ও যারা খুব বেশি সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকেন, তাদের অবশ্যই মনোচিকিৎসার প্রয়োজন।
অস্ট্রেলীয় একদল গবেষকের মতে, সেলফি তোলার এই রোগের রোগীরা শুধু সেলফি তুলেই ক্ষান্ত হন না, তারা তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না। তারা তাদের ছবিতে ভার্চুয়াল বন্ধুদের মন্তব্যও আশা করেন। আর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে তারা নিজেদের বিচার করা শুরু করলেই তা ‘ক্রনিক সেলফাইটিস’-এ রূপ নেয়। এভাবে ব্যক্তি তার নিজের অবস্থান ভুলে গিয়ে অন্যের বক্তব্যের ওপর বেশি নির্ভর করতে থাকেন। যাতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা কমতে থাকে দিনকে দিন। অতঃপর ব্যক্তি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ও দুর্বল হয়ে যান।
গবেষকরা বলছেন, সেলফিজনিত এই সমস্যা থেকে বের হতে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল জীবনের বাইরের সামাজিক জীবনে সময় কাটাতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আড্ডা এ ধরণের সমস্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
আমাদের মাঝে যারা খুব বেশি সেলফি ছবি তোলায় ব্যস্ত, তাদের আজ থেকেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত সেলফি তোলা থেকে নিজে বিরত থাকুন ও অন্যকেও বিরত থাকতে পরামর্শ দিন।
Hawai এর ভাজ করা ৫জি স্মার্ট ফোন!

Hawai এর ভাজ করা ৫জি স্মার্ট ফোন!


পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক–সমর্থিত প্রথম ফোল্ডিং বা ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত এ ফোন বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে দেখাতে পারে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইয়ু সম্প্রতি এ তথ্য দেন। নতুন স্মার্টফোনে কিরিন ৯৮০ চিপসেট ও বেলং ৫০০০ মডেল ব্যবহৃত হবে।
গত বছরে মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করেন ইয়ু। তিনি বলেন, ‘জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও আমাদের শক্তিশালী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।’
হুয়াওয়ে এখন মার্কিন চিপ নির্মাতা ইনটেলের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে স্মার্টফোন ও সার্ভারের জন্য নিজস্ব শক্তিশালী চিপ তৈরি করেছে। তবে হুয়াওয়ে নিজস্ব চিপসেট শুধু নিজেদের পণ্যে ব্যবহার করে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, মার্কিন চিপ নির্মাতা কোয়ালকমের নানা ধরনের পণ্য থাকলেও হুয়াওয়ে প্রায় তাদের ছুঁয়ে ফেলেছে।

তথ্যবিষয়/স্টাফ রিপোর্টার। 

Tuesday, January 15, 2019

চাদেঁ গজিয়েছে তুলাগাছ!!

চাদেঁ গজিয়েছে তুলাগাছ!!

গত ১২ জানুয়ারি গ্রহণ করা এবং ১৫ জানুয়ারি চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে চাং’ই-৪ ল্যান্ডার কর্তৃক বহন করে নিয়ে যাওয়া তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে।

চাঁদে পাঠানো চীনের ল্যান্ডার বোর্ডে বপন করা তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
চংকিং ইউনিভার্সিটির অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ছবিগুলো অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে চাং ই-৪ ল্যান্ডারটি স্থাপন করার পর একটি জালের মতো কাঠামোর একটি ছোট বাক্সের ভেতর থেকে উদ্ভিদের কচিপাতা বের হয়েছে। মঙ্গলবার এই পরীক্ষাটির পরিকল্পনায় নেতৃত্বদানকারী জাইয়ি জেঞ্জজিং বলেছে, প্রথমবার মানুষ চাঁদের পিঠে জৈবিক বিকাশের পরীক্ষা করছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে রোভার ল্যান্ডার নানা উপকরণ নিয়ে যাওয়া চীনের নভোযানটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। চাং ই-৪ নামের এই অভিযান শুরু হয়েছিল গত ৭ ডিসেম্বর আর এটি চাঁদের উল্টো দিকে বা অন্ধকার পিঠ স্পর্শ করেছিল গত ৩ জানুয়ারি। চাঁদে এর অবতরণ মহাকাশে পরাশক্তি হওয়ার চীনের উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা চাঁদে ক্ষুদ্র জীবমণ্ডল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন এবং পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারা ১৮ সেন্টিমিটারের (সাত ইঞ্চি) বালতির মতো পাত্রে বায়ু, পানি ও মাটি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে তুলো, একটি ক্ষুদ্র আরাবিডোপিসিস, চাষাবাদের জন্য সরিষার গাছ এবং আলুর বীজ, সেই সাথে ফল-ফুলের বীজ ও খামির রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, চাঁদ থেকে পাঠানো চিত্রগুলোতে দেখা যায় যে, তুলো গাছ ভালোভাবেই জন্মেছে তবে অন্য গাছ জন্মানোর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। চাঁদের পরিবেশ, মহাজাগতিক বিকিরণ এবং সৌরবায়ু এবং চাঁদের পৃষ্ঠের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সুইডেন, জার্মানি এবং চীনের বিজ্ঞানীদের অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত উন্নত উপকরণাদি দিয়ে চাং ই-৪ কে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্যানারমিক ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে নভোযানটি ‘ভন কারমান ক্র্যাটার’ অংশে ল্যান্ডিং সাইটের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছে। ল্যান্ডারটি প্রকাশিত ইউটু-২ (জেড রব্বিট) নামক রোভার ভন কারম্যান ক্র্যাটার অংশে পরীক্ষা চালাবে।
সংস্থাটি জানায়, চারটি চন্দ্র মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো নমুনা ও প্রমাণের আলোকে বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। চাইনিজ স্পেস এজেন্সি সোমবার জানিয়েছে, চীন একদিন চাঁদ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সম্ভবত এটি নির্মাণের জন্য থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

সূত্রঃ-নয়াদিগন্ত। 

Thursday, January 3, 2019

চাইলেও আর গাড়িতে গুমানো যাবে না!

চাইলেও আর গাড়িতে গুমানো যাবে না!

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কিংবা ঘুমিয়ে গাড়ি চালালে যাত্রী ও গাড়ির মালিকের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে। এমনকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকলে স্টার্ট হবে না গাড়ি।
‘ড্রাইভার অ্যান্টি স্লিপ অ্যান্ড অ্যালকোহল অ্যালার্ম ডিটেক্ট’ নামে একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছানোয়ার হোসেন। অবিশ্বাস্য এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কিংবা ঘুমিয়ে গাড়ি চালানোর দিন শেষ!
দীর্ঘ এক বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সফল হন তিনি। তার এ প্রযুক্তি প্রথমে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত স্কিল কম্পিটিশনে এবং পরে রংপুরে বিভাগীয় স্কিল কম্পিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে। ছানোয়ারের এ সাফল্যে খুশি সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেকোনো গাড়ির ড্যাশবোর্ডের সঙ্গে কনসুলিং করে সম্পৃক্ত করা যাবে আইবিলিং ও অ্যালকোহল সেন্সর। চালকের সামনে এ আইবিলিং সেন্সর ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চালককে ডিটেক্ট করবে।
পাশাপাশি গাড়ির সেলফের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে ম্যাগনেটিক রিলে। যা ঘ্রাণ সংবেদনশীল। চালক নেশাজাতীয় কোনো দ্রব্য ব্যবহার করলে সার্কিট অন হবে না। ফলে গাড়িও স্টার্ট হবে না। এ সেন্সরের সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি মোবাইলে ডেটাসেট করা থাকবে। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় চালক নেশা গ্রহণ করলে বা ঘুমিয়ে পড়লে তিন সেকেন্ডের মধ্যে সতর্কবার্তা মোবাইলে বেজে উঠবে। ফলে গাড়ির মালিক, ম্যানেজার বা সুপারভাইজার চালককে সতর্ক করতে পারবেন। এ অ্যালার্ম সিস্টেম দূরপাল্লার গাড়ির ভেতরেও সংযোগ করা যাবে।
এমন অবিশ্বাস্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী ছানোয়ার হোসেনের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দহিলা বড়হাট পাড়ায়। তার বাবা আব্দুল আজিজ বাসচালক। তার বড় দুই ভাইও গাড়ির চালক। মা ছানোয়ারা বেগম মারা গেছেন। কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ছানোয়ার হোসেন।

এ প্রযুক্তি নিয়ে কথা হয় ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারে বাবা ও দুই ভাই গাড়িচালক। ড্রাইভিংয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে আমার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যায় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করি। একপর্যায়ে দুর্ঘটনা রোধে একটি প্রযুক্তি প্রকল্প হাতে নিই। শিক্ষক ও কয়েকজন সহপাঠীর সহযোগিতায় অবশেষে ‘ড্রাইভার অ্যান্টি স্লিপ অ্যান্ড অ্যালকোহল অ্যালার্ম ডিটেক্ট’ প্রযুক্তি আবিষ্কার করি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে শুধু দুর্ঘটনাই কমবে না; সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই আমরা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারব।
কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর ও ছানোয়ারের শিক্ষক সুমন কুমার সাহা বলেন, ছানোয়ার হোসেনের আবিষ্কৃত ‘ড্রাইভার অ্যান্টি স্লিপ অ্যান্ড অ্যালকোহল অ্যালার্ম ডিটেক্ট’ প্রযুক্তি আসলেই অবিশ্বাস্য। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগীয় স্কিল কম্পিটিশনে এ প্রযুক্তি স্বীকৃতি পেয়েছে।
সুমন কুমার সাহা আরও বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটে ছানোয়ারের মতো অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে চায়। কিন্তু একটি প্রজেক্ট তৈরি করতে যে ব্যয় হয়, তাদের পক্ষে সেটা সংকুলান করা সম্ভব হয় না। এ ব্যাপারে সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালে আরও নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারবে আমাদের শিক্ষার্থীরা।
এ প্রযুক্তির পজেটিভ দিক বিবেচনা করে কুড়িগ্রাম জেলা বাস ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদুজ্জামান রাছেল বলেন, এ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সড়কে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের পাশাপাশি মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ছানোয়ার আগামীতে এ প্রযুক্তির উন্নয়নসহ আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারবে।
স্কিল কম্পিটিশনে ছানোয়ারের প্রযুক্তি দেখে মুগ্ধ কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, গাড়ির চালকরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। চালকরা সতর্ক হবেন। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ছানোয়ার হোসেনের আবিষ্কৃত এ প্রযুক্তি আসলেই অবিশ্বাস্য।

Thursday, December 20, 2018

যুবকদের একাকীত্ব কাটাতে "ভার্চুয়াল স্ত্রী"।

যুবকদের একাকীত্ব কাটাতে "ভার্চুয়াল স্ত্রী"।

বছর দুয়েক আগেই জানা গিয়েছিল নিঃসঙ্গ যুবকদের একাকীত্ব কাটাতে জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্টানগুলো অভিনব পথে হাঁটছে।সে সময় বলা হয়েছিল, তারা 'ভার্চুয়াল স্ত্রী' তৈরি করেছে।সেটা ছিল দেশটির প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্টান ভিনক্লুর   নাম 'গেটবক্স'।

এর হলোগ্রাফিক পর্দায় ভার্চুয়াল পুতুল হিকারি কে দেখা যাবে।সে তার সঙ্গীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে, গুড মর্নিং জানাবে। ঘরের বাতি জ্বালাবে ও নেভাবে।প্রয়োজনে এসি চালাবে ও বন্ধ করবে।অর্থাৎ নিঃসঙ্গ যুবকদের সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে।