Wednesday, January 30, 2019

এক অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা।

এক অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা।


ওয়ান স্টপ ডিজিটাল সেবা’র একটি অ্যাপেই মিলবে সব ধরনের রেলসেবা। অ্যাপটি তৈরির পর ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এটি উদ্বোধন করা হবে।
বুধবার রেলভবনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, আগামী এক বছরের মধ্যে রেলওয়ের জন্য তৈরি হবে এ অ্যাপটি।
রেলের বর্তমান সেবাকে আরও জনবান্ধব ও সহজ করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ওয়ান স্টপ ডিজিটাল রেলওয়ে যাত্রী সেবার সিস্টেম ও মোবাইল অ্যাপ তৈরি এবং বাস্তবায়ন করবে।
এর পর এই অ্যাপের মাধ্যমেই ট্রেনের টিকিট বুকিং ও মূল্য পরিশোধ করে টিকিট সংগ্রহ, ট্রেনের অবস্থান জানা, ট্রেনের ভেতর খাবারের অর্ডার বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রেল পুলিশের সহযোগিতাসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি এ পদ্ধতি যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও সহজে ব্যবহার করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে এই অ্যাপে।

Tuesday, January 29, 2019

Banglalink Offer || 3gb only 99 Tk.

Banglalink Offer || 3gb only 99 Tk.

বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য সুখবর। বাংলালিংক গ্রাহকরা এখন ৩জিবি ইন্টারনেট নিতে পারবেন ৯৯ টাকা দিয়ে।যার মেয়াদ হলো ৭দিন।

প্রথমে ডায়াল করুন *5000*799# অথবা রিচার্জ করুন ৯৯ টাকা। ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *5000*500#.. .

ধন্যবাদ।      
মোবাইল চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে!!

মোবাইল চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে!!


স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত চাহিদার কারণে ফোনগুলোতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনী ফিচার। যে স্মার্টফোনের যত বেশি গ্রাহকবান্ধব ফিচার তার চাহিদা ও সাফল্য ততই বেশি। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রতিটি মোবাইল কোম্পানিই তাদের স্মার্টফোনে চমৎকার সব ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে। এই দৌড়ে গুরুত্ব পাচ্ছে পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, চার্জ আর স্টাইল।

গত কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কাজ করে যাচ্ছে, যেটাকে কোম্পানিগুলো বাজারে কুইক চার্জিং নামে পরিচিত করিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়, চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো কুইক চার্জিং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বেশ এগিয়ে আছে। দ্রুত চার্জিং এর জন্য কিছুদিন অপো বাজারে নিয়ে আসে ভিওওসি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে, সর্বোচ্চ ব্যাটারি চার্জিং শক্তি দিতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে বাই-সেল ব্যাটারি ডিজাইন, যেটি প্রায় ৫০ ওয়াটের কাছাকাছি। ভিওওসি প্রযুক্তিতে ৩৫ মিনিটে ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়। অপো’র সাম্প্রতিক সব স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি রয়েছে। মাত্র ১০ মিনিটে ৪০% চার্জ করা সম্ভব। আর ১০০ ভাগ চার্জ হবে মাত্র ৩৫ মিনিটে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, সেলফি এক্সপার্ট এবং লিডার হিসেবে অপো সবসময় তরুণ প্রজন্মের সময় উপযোগী চাহিদা বুঝে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন নিয়ে আসে। তারই অংশ হিসেবে অপো নিয়ে এসেছে সুপার ভিওওসি চার্জিং প্রযুক্তির স্মার্টফোন অপো আর১৭ প্রো। আমরা আশা করি, গ্রাহকরা অপো’র নতুন প্রযুক্তিসমূহ উপভোগ করবেন।’

অপো’র নতুন প্রযুক্তির ডিভাইসটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির জীবনকাল (লাইফস্পেন) বা কার্যকারিতার কোনো ক্ষতি না করে সফলভাবে নতুন স্মার্টফোনের সঙ্গে কাজ করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাটারি নিয়ে যে সমস্যা বা দুশ্চিন্তা রয়েছে তার একটি চূড়ান্ত সফল সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
ফেসবুক দূর্নীতির তালিকায়!!

ফেসবুক দূর্নীতির তালিকায়!!


ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূর্নীতি করেছে বলে দাবি করেছেন ফেসবুক প্রতিষ্টাতা মার্ক জুকারবার্গ এর সহপাঠী অ্যারন গ্রিনস্প্যান।

"রিয়েলিটি চেক" নামে এক প্রতিবেদনে অ্যারন গ্রিনস্প্যান বলেন 'ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে কতটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা ফেসবুক এতদিন বলে নি'। 
তিনি আরো বলেন "ফেসবুকের প্রায় ৫০ শতাংশ আইডি ভুয়া। যার ফলে গ্রাহকরা প্রতিনিয়তই বিভিন্নভাবে প্রতারণা,লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে"।
 তবে ফেসবুক গ্রিনস্প্যানের অভিযোগটি মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।   

Monday, January 28, 2019

ডেলিভারী শুরু করলো স্কাউট রোবট!!

ডেলিভারী শুরু করলো স্কাউট রোবট!!


গ্রাহকের দরজায় ডেলিভারির জন্য নতুন রোবট নিয়ে এল ই-কমার্স জায়েন্ট অ্যামাজান।  আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল শহরতলিতে এই রোবট পরীক্ষামুলকভাবে চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।
নীল রঙের এই রোবটে থাকছে ছয়টি চাকা। পাশে থাকছে কোম্পানির লোগো। কোম্পানি জানিয়েছে ফুটপাথ দিয়ে গিয়ে গ্রাহকের দরজায় ডেলিভারি করতে পারবে এই রোবট।
কোম্পানি জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় এই রোবটের সাথে একজন কর্মী থাকবেন। তবে কীভাবে এই রোবট কাজ করবে তা জানায়নি অ্যামাজান।
ইতিমধ্যেই একাধিক কোম্পানি বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে এই ধরনের রোবট দিয়ে পরীক্ষামুলকভাবে খাবার ডেলিভারি করছে।
অ্যামাজান জানিয়েছে স্কাউট নামের এই রোবট ফুটপাথে পথচারি বা কুকুরকে ধাক্কা মারবে না।
শনির উপগ্রহে হঠাৎ বৃষ্টি!!

শনির উপগ্রহে হঠাৎ বৃষ্টি!!



এই প্রথম এই সৌরমণ্ডলের কোনো চাঁদে দেখা গেল বৃষ্টি। সেটাও আবার গ্রীষ্মকালে।
বৃষ্টির আগে কোনো মেঘের চিহ্নমাত্র থাকে না আকাশে।   আর সেই বৃষ্টিতে আকাশ থেকে জল নেমে আসে না। নেমে আসে তরল মিথেন। তবে তা আকাশের ঠিক কোথা থেকে নেমে আসছে, কেন নেমে আসছে, জানা যায়নি। পৃথিবীর বৃষ্টির ফোঁটার থেকে অনেক ধীরে ধীরে সেই মিথেন বৃষ্টির ফোঁটা নামে। সম্প্রতি শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানে এমন ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছে নাসার 'ক্যাসিনি' মহাকাশযান।
ক্যাসিনির পাঠানো ছবি ও তথ্য থেকে জানা গেছে, ওই বৃষ্টির পরেই ঠান্ডার মৌসুম চলে গিয়ে পুরোপুরি গরম পড়ে শনির বৃহত্তম চাঁদ টাইটানের উত্তর মেরুতে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল 'জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স'এ। যার মূল গবেষক ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভারতীয় বংশোদ্ভূত রজনী ধিংড়া।
মেঘ ছাড়া সেই বৃষ্টি হচ্ছে কীভাবে টাইটানের উত্তর মেরুতে, তা নিয়ে যথেষ্টই ধন্দে পড়ে গিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই সৌরমণ্ডলের আর কোনো চাঁদেই এর আগে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়নি। এমনকী, শনির চাঁদ টাইটানের দক্ষিণ মেরুতেও এর আগে যে বৃষ্টি পড়তে দেখা গিয়েছিল, তা কিন্তু গ্রীষ্মকালে হয়নি। 

আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন থেকে রজনী বলেছেন, 'এমন কোনো ক্লাইমেট মডেল নেই, যেখানে বলা আছে, মেঘ ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির জন্য সব সময়েই মেঘের প্রয়োজন। কিন্তু কেন, কী ভাবে টাইটানের উত্তর মেরুতে গ্রীষ্মকালে কোনো মেঘ ছাড়াই বৃষ্টি হয়, তা এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। এও জানতে পারিনি কেন সেই বৃষ্টি হয় গ্রীষ্মকালে। '
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে শনির চাঁদ টাইটানের বায়ুমণ্ডলের মিল রয়েছে অনেকটাই। পৃথিবীর মতোই টাইটান পাথুরে। পৃথিবীর শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার মতো নানা ঋতু রয়েছে টাইটানেও। তবে সেগুলির মেয়াদ কিন্তু অনেকটাই। পৃথিবীর কয়েকটা বছর সেখানে একটা ঋতু। পৃথিবীর স্বাভাবিক জল-চক্রের মতো একটা চক্র বা সাইক্‌লও রয়েছে টাইটানেও। তবে সেটা জলের নয়, মিথেনের মতো তরল হাইড্রোকার্বনের।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, পৃথিবীর চেয়ে অনেক কম পরিমাণে বৃষ্টি হয় টাইটানে। টানা ১৩ বছর শনি আর তার চাঁদ টাইটানের উপর নজর রেখেছিল ক্যাসিনি মহাকাশযান। কিন্তু ওই ১৩ বছরে বড়জোর ৭/৮ বার তার নজরে পড়েছিল টাইটানের বৃষ্টি। পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের সাত ভাগের এক ভাগ টাইটানের অভিকর্ষ বল। তাই পৃথিবীর আকাশ থেকে যে গতিতে নেমে আসে বৃষ্টির জলের ধারা, টাইটানে নেমে আসা বৃষ্টির ধারা তার চেয়ে নামে অনেক ধীরে ধীরে। সেই ঘটনাকে দেখতে লাগে আমাদের তুষারপাতের মতো।
তা হলে কি বৃষ্টির আগে কোনো মেঘই হয় না টাইটানে? বিজ্ঞানী রজনী ধিংড়া বলেছেন, 'সেটা এখনও আমাদের কাছে একটা জটিল রহস্য। আলোর দুই-একটা তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সেই মেঘের মতো একটা কিছুর আভাস পেলেও, সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সেই মেঘ দেখা যায়নি। আমাদের আরও অবাক করেছে টাইটানের দক্ষিণ মেরু। সেখানে কিন্তু মেঘ ছাড়া বৃষ্টি হয় না কখনও। তাহলে, কেন উত্তর মেরুতে মেঘ ছাড়া বৃষ্টি হয়, এখনও পরিস্কার নয়। 
মাত্র ৪৯ দিনে কুরআনের হাফেজ কুমিল্লার রাফছানের।

মাত্র ৪৯ দিনে কুরআনের হাফেজ কুমিল্লার রাফছানের।


স্মরণশক্তি আল্লাহতায়ালার অপরিসীম দান। তবে প্রত্যেক মানুষের স্মরণশক্তি সমান নয়। স্মরণশক্তির কমবেশ মহান আল্লাহতায়ালার কুদরতের রহস্য বিশেষ।
স্মরণশক্তির জোড়ে মুখস্থ করার মতো অস্বাভাবিক নানা ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। যা স্বাভাবিকভাবে বেশ কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ। এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে কুমিল্লার ৯ বছরের শিশু মো. রাফসান মাহমুদ জিসান।
মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআনে কারিম মুখস্থ করেছ সে। কুমিল্লা শহরের ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিফজ বিভাগ থেকে সে এ কীর্তি গড়েছে।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার উদ্দিনের ছেলে রাফসান।
শনিবার রাতে রাফসানের হিফজ বিভাগের শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধা সাধারণের চাইতে অনেক বেশি। রাফসান ৪৯ দিনে কোরানের ৩০ পারাই মুখস্ত করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরের ২ তারিখে রাফসানকে কোরআন শরিফের ৩০ তম পারা মুখস্ত করতে দেই। দিন শেষে রাফসান গড়গড় করে ৩০তম পারাটি মুখস্ত বলে দেয়। এতে অবাক হলেও হয়ত আগে থেকেই পারাটি তার মুখস্ত ছিল ভেবে পরের দিন আবার তাকে প্রথম পারা মুখস্ত করতে দেই।
একইভাবে সে দ্রুত ওই পারাটিও সবক দিয়ে দেয়। এভাবে কোরআনের পাঁচটি পারা কয়েক দিনের মধ্যে মুখস্ত করে দিলে আমরা নিশ্চিত হই যে রাফসান আর সব শিশু থেকে আলাদা। তার মুখস্তবিদ্যা প্রখর।
এভাবে প্রতিদিনই এক পারা করে মুখস্ত করে যেতে থাকে ও পেছনের আয়াতগুলো ঝালিয়ে নিতে থাকে রাফসান। রাফসানের এখন পুরো কোরআন শুনানি চলছে বলে জানান শিক্ষক জামাল উদ্দিন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফসানের মা শাহিনা আক্তার ২০১৭ সালে ছেলেকে নুরানি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করে। এক বছর রাফসান প্রথম শ্রেণির বই পড়ার সঙ্গে দেখে দেখে কোরআন পড়া শেষ করে। এর পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তাকে একই বিদ্যালয়ের হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন জুয়াইরিয়া নামের এক পাকিস্তানি তরুণী। লাহোরের গাজিয়াবাদ কলেজের ছাত্রী জুয়াইরিয়া কলেজ ছুটির ফাঁকে কোরআন মুখস্থ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।

Sunday, January 27, 2019

পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগ্যতা ছাড়ায় চাকরি।

পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগ্যতা ছাড়ায় চাকরি।


পরিবেশ অধিদফতরের ৮টি পদে ৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: পরিবেশ অধিদফতর
পদের নাম: সাঁট লিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৭ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
দক্ষতা: টাইপিংয়ে নির্ধারিত গতি
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

পদের নাম: গবেষণাগার সহকারী
পদসংখ্যা: ০৫ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে এসএসসি/এইচএসসি/সমমান
বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান
দক্ষতা: টাইপিংয়ে নির্ধারিত গতি
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: নমুনা সংগ্রহকারী
পদসংখ্যা: ০৮ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে এইচএসসি/সমমান
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: স্টোর কিপার
পদসংখ্যা: ০৪ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্যে এইচএসসি/সমমান
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা: ০৩ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি
দক্ষতা: মোটরযানের বৈধ লাইসেন্স
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ১৯ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে এসএসসি/সমমান
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা

পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১৬ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি
দক্ষতা: শারীরিক যোগ্যতা
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

চাকরির ধরন: অস্থায়ী ভিত্তিতে
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা doe.teletalk.com.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সর্বাধিক ইন্টারনেট প্রোটোকোল যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশে।

সর্বাধিক ইন্টারনেট প্রোটোকোল যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশে।


ইন্টারনেট ব্যবহারের সর্বাধুনিক ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি অ্যাড্রেসিং পদ্ধতি আইপিভি-৬ এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পদ্ধতি চালু হলে দেশের সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে আসল আইপিভি ঠিকানা দেয়া সম্ভব হবে।

আইপিভি-৬ চালুর অন্য সুবিধার পাশাপাশি প্রতিটি ডিভাইসের অবস্থান শনাক্ত হওয়ায় ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’ পদ্ধতিতে সংঘটিত অপরাধসহ সব সাইবার অপরাধ কমে আসবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, বাংলাদেশ সর্বাধুনিক সংস্করণের তথ্যপ্রযুক্তি গ্রহণে পিছিয়ে থাকবে না। বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে সরকার। নতুন আইপিভি অ্যাড্রেসিং পদ্ধতিতে যেতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি স্ট্যাডি গ্রুপ গঠন করেছে।

এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমিশনের প্রকৌশল বিভাগের মহাপরিচালক। বাংলাদেশ এখনও আইপিভি-৪ অ্যাড্রেসিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। অথচ অনেক দেশেরই আইপিভি-৪ ঠিকানা ফুরিয়েছে।

কোনো কোনো দেশ পুরোপুরি আইপিভি-৬ ব্যবহার করছে। অনেক দেশে আইপিভি-৬ সবার কাছে না যাওয়ায় আইপিভি-৪ পদ্ধতিও পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্টাডি গ্রুপ ডিসেম্বর মাসে দুটি বৈঠকও করেছে। এতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, ইন্টারনেট গেটওয়ে ও মোবাইল ফোন অপারেটররা অংশ নেন।

বৈঠকগুলোতে আইপিভি-৬ গ্রহণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্বগুলো নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাই আইপিভি-৬ গ্রহণের সম্ভাব্য সমস্যা, চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সবার পক্ষ থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন কার্যক্রমের পরামর্শক সুমন আহমেদ সাবির। সাবির বিডিনগ বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এবং জাতিসংঘের ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে (আইজিএফ) মাল্টি স্টেকহোল্ডার অ্যাডভাইজরি গ্রুপের সদস্য। তিনি জানান, চাইলে ছয় মাসের মধ্যে দেশে আইপিভি-৬ চালু করা সম্ভব। চ্যালেঞ্জও খুব বেশি তাও নয়।
হারানো মোবাইল কিভাবে ফিরে পাবেন?দেখে নিন।

হারানো মোবাইল কিভাবে ফিরে পাবেন?দেখে নিন।


ফোন হারানোর যন্ত্রণা সবাইকে কখনো না কখনো পেতে হয়েছে। সোফার খাঁজে লুকাল, নাকি অফিসের ফাইলপত্তরের ভেতর, নাকি বাসাতেই রেখে এলেন নানা দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে আপনাকে। অন্য কোনো নম্বর থেকে ফোন করে নিশ্চিত হবেন, সে উপায়ও হয়তো নেই!

আর যদি প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি নতুন ফোন কেনার চিন্তা করে থাকেন তখন আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা কেবলই আর্থিক ক্ষতি।

কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারণ করে রাখে।

আর শুধু আপনার তথ্য কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত ব্যক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেক জনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না।

আবার এমন কিছু স্মৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি ফিরে পেতে চায় অক্ষতভাবে। অন্তত পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়।

এতে আপনার আপনার একান্ত ব্যক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।

ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘গুগল’ এর একটি সেবা রয়েছে যার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের বর্তমান অবস্থান যানা যায়। তবে এটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য।

এ অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে মোবাইল ফোনের বর্তমান অবস্থান জানার সুযোগ পেতে হলে আপনার ফোনটি থেকে গুগল আইডি বা জিমেইল আইডি চালু লগইন থাকতে হবে।

আপনার জিমেইল আইডি যে ফোনে লগইন করা আছে সেই ফোনটি যদি হারিয়ে যায় তাহলে যেকোনো কম্পিউটার থেকে maps.google.com -এ ব্রাউজ করতে হবে।

এরপর আপনার হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি যে গুগল আইডি দিয়ে লগইন করা আছে, সেই অ্যাকাউন্টটিই ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। maps.google.com -এর উপরে বাম দিকে তিনটি সরলরেখার মতো চিহ্ন দেখতে পাবেন। ক্লিক করুন সেই চিহ্নে।

চিহ্নে ক্লিক করার পর ‘ইয়োর টাইমলাইন’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে। সেখান থেকে আপনি যে দিনের লোকেশন দেখতে চান, সেই দিনটি সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে গুগল ম্যাপের উপর আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের লোকেশন দেখতে পাবেন আপনি।

এছাড়া স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেই ওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা। কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে। তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়।

আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display > Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরণ করতে পারেন।

নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড দেখুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা আপনার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি শনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিকভাবে রেজিস্টার করা।

এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার নিশ্চিত করে।

সবশেষ সেট উদ্ধারের সব আশাই যদি জলাঞ্জলি দিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এটাই আপনার শেষ আশ্রয়। মোবাইলে থাকা মহাগুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন অন্য কারও হাতে না পড়ে, সে ব্যবস্থাও নিতে পারেন। (ERASE DATA) অপশনটি ব্যবহার করে, মোবাইলের সব ডেটা মুছে ফেলতে পারবেন।

মোবাইল যদি অফলাইনে থাকে, তবে যখনই অনলাইনে আসবে, সঙ্গে সঙ্গে সব তথ্য মুছে যাবে। তবে এর ফলে গুগলের সাহায্য নিয়ে আর সেট খুঁজে পাওয়ার উপায় খোলা থাকবে না।
তবে সেট খুঁজে পেলে জিমেইল আইডি দিয়ে আবারও ব্যবহার করতে পারবেন সেই সেট।

তথ্যবিষয়/স্টাফ রিপোর্ট। 
Bpl নিয়ে এভিডি ভিলিয়ার্সের ভাবনা!

Bpl নিয়ে এভিডি ভিলিয়ার্সের ভাবনা!


প্রথমবারের মত বিপিএল খেলতে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স। পরবর্তী আসরগুলোতেও বাংলাদেশের এই টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার ভাবনা আছে তাঁর।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বের সব বড় টুর্নামেন্ট গুলোতে খেলা ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টটি আইপিএলের মতো এতোটা সমৃদ্ধ নয়, কারণ বিপিএল এখনও নতুন। 

আইপিএলে ১১ বছরের মতো চলছে, যেখানে বিপিএলের বয়স মাত্র ছয় বছরে। তাই এখনও সময় লাগবে ঐ পর্যায়ে যেতে কিন্তু এটা অবশ্যই বিশ্বের অনেক বড় টুর্নামেন্টগুলোর সমতুল্য। এটা অনেক অসাধারণ একটি টুর্নামেন্ট এবং আমি আবারও এখানে আসার কথা ভাবছি।’

বিশ্বের সব তারকা ক্রিকেটাররা আইপিএলে অংশ নিতে মুখিয়ে থাকে। বর্তমানে বিপিএলও কম যায় না। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, ডি ভিলিয়ার্স খেলছেন বিপিএলে।

সকলেই উপভোগ করছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া এই টুর্নামেন্ট। পুনরায় বিপিএলে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন সকলেই।
পাবজি এখন বিনামূল্যে।

পাবজি এখন বিনামূল্যে।


এবারে কম ক্ষমতাসম্পন্ন পিসি হার্ডওয়্যারেও চলবে জনপ্রিয় এই গেইমটি।  লাইট সংস্করণটি দিয়ে গেইমটির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ফোর্টনাইটের সঙ্গে আরও জোরালো প্রতিযোগিতায় নামার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
প্রতিযোগিতা কম থাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফোর্টনাইট। গেইমটি চালানো যায় প্রায় সব ডিভাইসেই। আর গেইমটি দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এবার একই পথে এগোচ্ছে পাবজি’ও।
মূল পাবজি থেকে পুরো আলাদাই থাকছে পাবজি লাইট। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিনামূল্যের সংস্করণটির জন্য পুরো আলাদা ডেভেলপার দল থাকবে , যারা মূল গেইমের মতোই ম্যাপ এবং অন্যান্য ফিচার আনতে কাজ করবে।
আপাতত থাইল্যান্ডে পাবজি লাইট বেটা সংস্করণে শুধু ইরাংগেল ম্যাপ চালু করা হয়েছে। সোলো, ডুয়ো বা স্কোয়াড মোডে গেইমটি খেলা যাবে। থাইল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া থেকে অন্যান্য দেশে লাইট সংস্করণ চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
আগের বছর দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘প্রিমিয়াম’ ’গেইমগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল পাবজি। ২০১৮ সালে গেইমটির আয় ছিল প্রায় ১০৩ কোটি মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে ফোর্টনাইট বিনামূল্যের গেইম হওয়া সত্ত্বেও আয় করেছে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা পাবজি’র আয়ের প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।
হার্ট রেট ও রক্তচাপের ব্যাবধান জেনে নিন।

হার্ট রেট ও রক্তচাপের ব্যাবধান জেনে নিন।


হৃদযন্ত্রের সমস্যা আর উচ্চ রক্তচাপ- একটি আরেকটির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি (এটি পুরো শরীরের ক্ষতি করে) এবং এখানে আপনার সংখ্যাটি জানতে হবে। কিন্তু আপনার হার্ট রেট কী একই জিনিস? যদি আপনার ‘হাই রেস্টিং হার্ট রেট’ থাকে, তবে বুঝতে হবে এটি আপনার রক্তচাপ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে নির্দেশ করছে।
রক্ত চাপ, হার্ট রেট এবং এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার, তা নিচে দেয়া হলো : 
রক্ত চাপ কী?
উচ্চ রক্তচাপ কেন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তা বোঝার জন্য, আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরে কী ঘটছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আপনার রক্তনালীর ভেতর দিয়ে ক্রমাগত রক্তের ধারা বয়ে যাচ্ছে এবং এ ধারা হৃদযন্ত্রে গিয়ে মিলিত হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন তখনই হয় যখন আপনার ধমনী বেষ্টনীর বিপরীতে রক্তের চাপ অনেক বেশি থাকে। এতে ধমনী প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর এই চাপই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়।
রক্তচাপ পরীক্ষায় দু’টি সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়। এতে সবসময় সিস্টোলিক চাপ ওপরে এবং ডায়াস্টলিক চাপ নিচে লিখে প্রকাশ করা হয়। যেমন ১২০/৮০। প্রথম সংখ্যাটি ১৪০ এর ওপরে এবং পরের সংখ্যাটি ৯০ এর বেশি হলে বুঝতে হবে আপনি হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ভেতর আছেন।
হার্ট রেট কী?
হার্ট রেট হচ্ছে আপনার হৃদযন্ত্রের কম্পন প্রতি মিনিটে কতবার অনুভূত হয় সেই সংখ্যা। আপনার রেস্টিং হার্ট রেট জানতে, প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তার পর, দুই আঙুল রাখুন হাতের কব্জির কেন্দ্রে অবস্থিত রেডিয়াল ধমনীতে। ১৫ সেকেন্ডে কম্পনগুলো গণনা করুন। এবার ওই কম্পন সংখ্যাকে ৪ দিয়ে গুণ করলে পেয়ে যাবেন আপনার রেস্টিং হার্ট রেট।
সাধারণত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার কম্পনের মধ্যে রেস্টিং হার্ট রেট পুরোপুরি স্বাভাবিক। ক্রীড়াবিদ বা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৬০ এর কম হতে পারে।
এই দুইয়ের মধ্যে সবসময় সম্পর্ক বিদ্যমান?
যেহেতু দুই অবস্থাই জানতে হয় হৃদযন্ত্র দিয়ে, তাই মনে হতে পারে এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আছে। কিন্তু ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক নোটসের মতে, এটি আসলে একটি মিথ যে আপনার হার্ট রেট ও রক্তচাপ পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ ও হার্ট রেটের একই সময় ওঠানামা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আপনি উভয় হার একই রকম দেখে মনে করতে পারেন এটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার হার্ট রেট ও রক্তচাপ সংখ্যা দুটোই নিজস্ব গতিতে বাড়তে পারে। একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। 
উচ্চ রক্তচাপ উচ্চ হার্ট রেটের চেয়ে বিপজ্জনক
সামান্য উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি না পারলেও আপনার রক্তনালী এই প্রভাব অনুভব করবে। অর্থাৎ হাইপারটেনশন উচ্চ হার্ট রেটের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
সইন্টারনেট।
স্নাতক(পাস) ১ম বর্ষ সাজেশন ২০১৯ || জৈব রসায়ন।(রসায়ন ২য়)

স্নাতক(পাস) ১ম বর্ষ সাজেশন ২০১৯ || জৈব রসায়ন।(রসায়ন ২য়)



আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগণ স্নাতক(পাস) কোর্সের ১ম বর্ষ পরীক্ষা খুবই  সন্নিকটে। যারা বিএসসি তে পড়ছো মনে রাখতে হবে তোমরাই সেরা। কারন বিএসসি অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট থেকে অনেক কঠিন এবং কষ্টসাধ্য।বিএসসি পাশ করতে হলে তোমাকে পড়ালেখা করেই পাশ করতে হবে।শুয়ে,বসে,আড্ডা দিয়ে বিএসসি পাশ করা যাবে না।বেশি কথা বলে ফেললাম।চলুন এবার কাজের কথায় আসি।

আমি আজ যে বিষয়ে সাজেশন দিব সে বিষয়ে প্রতি বছর সে বিষয়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী ফেল করে থাকে।পরবর্তিতে ইমপ্রুভ দিতে হয়।তাদের কথা মাথায় রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ সাজেশন তৈরি করা হয়েছে।

০১.সংকরণ কাকে বলে?মিথেন অণুতে কার্বন পরমাণুর sp3 সংকরণ ব্যাখা কর।

০২. মুক্তমুলক কী? মুক্তমুলকের বৈশিষ্ট্য লেখ। 3°,2° ও 1° মুক্তমুলকের স্থিতিশীলতা আলোচনা কর।

০৩.জ্যামিতিক সমাণুতা কী? জ্যামিতিক সমাণুতার শর্তগুলো কী কী?

০৪. সিস ও ট্রান্স সমাণুর মধ্যে কোনটির গলনাঙ্ক বেশি এবং কেন?

০৫. অ্যালকিন প্রস্তুতির তিনটি সাধারণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।

০৬. অ্যালকিনে ব্রোমিনের যুত বিক্রিয়ার কৌশল আলোচনা কর।

০৭. ১- পেইন্টানে ও ২- পেইন্টাইনের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

০৮. অ্যালকাইল হ্যালাইডের তিনটি সাধারণ প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা কর।

০৯. গ্রিগনার্ড বিকারক কাকে বলে? কিভাবে গ্রিগনার্ড বিকারক প্রস্তুত করা হয়?

১০. Sn1 বিক্রিয়া কি? Sn1 বিক্রিয়ার ক্রিয়াকৌশল আলোচনা কর।

১১. অপসারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? E1 অপসারণ বিক্রিয়ার ক্রিয়াকৌশল আলোচনা কর।

১২. সেকেন্ডারি অ্যালকোহল ২° প্রস্তুতির দুটি সাধারণ প্রণালী বর্ণনা কর।

১৩. ১°,২° ও ৩° অ্যালকোহল মধ্যে কিভাবে পার্থক্য নির্ণয় করবে?

১৪. বিউটানল-১ এবং বিউটানল-২ এর মধ্যে কিভাবে পার্থক্যকরণ করবে?

১৫. ডাইইথাইল ইথার রঙিন বোতলে রাখা হয় কেন?

১৬. ইথারের তিনটি সাধারণ প্রস্তুত প্রনালী বর্ণনা কর।

১৭. জৈব যৌগে >C গ্রুপের উপস্থিতি কিভাবে শনাক্ত করা যায়?

১৮. কিটোনের দুটি সাধারণ প্রস্তুত প্রণালী লিখ।

১৯. কার্বনিল যৌগ কেন্দ্রকর্ষী যুত বিক্রিয়া প্রর্দশন করে।

২০. ইথানল অ্যালডল ঘনীভবন বিক্রিয়া দেয় কিন্তু বেনজালডিহাইড দেয় না- কেন?

২১. মিথ্যানল ক্যানিজারো বিক্রিয়া প্রদর্শন করে,ইথ্যানল করে না কেন?

২২. কার্বক্সিলিক এসিডের অরবিটাল চিত্র আঁক।

২৩. অ্যালিফেটিক এসিডের দুটি সাধারণ প্রস্তুত প্রণালী বর্ননা কর।

২৪. অ্যাসিটিক এসিড হতে কীভাবে ম্যালিনিক এস্টার প্রস্তুত করবে?

২৫. ইথাইল অ্যাসিটো অ্যাসিটেট প্রস্তুতি বর্ণনা কর।

২৬. অ্যারোমেটিকত্বের শর্তাবলী উল্লেখ কর।

২৭. বেনজিনের গঠন সম্পর্কে আলোচনা কর।

২৮. বেনজিনের ইলেকট্রোনাকর্ষী প্রতিস্হাপন বিক্রিয়ার ক্রিয়া কৌশল আলোচনা কর।

২৯. বেনজিন অপেক্ষা টলুইনে নাইট্রেশন অধিক দ্রুত ঘটে। ব্যাখা কর।

৩০. -Nh2 গ্রুপ অর্থো প্যারা নির্দেশক।ব্যাখা কর।

৩১. অ্যারোমেটিক প্রাইমারি ১° অ্যামিন প্রস্তুতির দুটি সাধারণ পদ্ধতি সমীকরণ সহ লেখ।

৩২. ডায়াজােনিয়াম লবণ কী? কিভাবে  এ লবণ প্রস্তুত করা হয়।

৩৩. নাইট্রো বেনজিন ফ্রিডেল ক্রাপট বিক্রিয়া প্রদর্শন করে না কেন?

৩৪. কার্বক্সিলিক এসিড ও ফেনলের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

৩৫. ন্যাপথালিনের অরবিটাল চিত্র আলোচনা কর।

৩৬. ন্যাপথালিনের হাওয়ার্থ সংশ্লেষণ বর্ণনা কর।

৩৭. বেনজিন অপেক্ষা ন্যাপথালিন অধিক সক্রিয়-ব্যাখা কর।

৩৮. বিষম চাক্রিক যৌগ বলতে কী বুঝ? কিভাবে তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়?

৩৯. ফিউরান সংশ্লেষণ দুটি পদ্ধতি বর্ণনা কর।

৪০. পাইরোল সংশ্লেষণের দুটি পদ্ধতি বর্ননা কর।

৪১. পাইরোল ফ্রিডেল ক্রাফট বিক্রিয়া দেয়, পিরিডিন দেয় না-ব্যাখা কর।

৪২. পিরিডিন একটি অ্যারোমেটিক যৌগ- ব্যাখা কর।     

সাজেশন টা বড় দেখে এখনি বের হয়ে যেওনা।এর ৫০% শেষ করতে পারলে পাশ করতে পারবে আমি ১০০% নিশ্চিত।আর যারা পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তাদের ১০০% কমন পড়বে।জৈব রসায়নে সর্বমোট প্রশ্ন থাকে ৩০ টির ও বেশি।সে ক্ষেত্রে আমি ৪০ টি প্রশ্ন দিয়েছি।বেশি দিয়েছি বলে মনে হচ্ছে না।

আর যাদের অন্য বিষয়ে সাজেশন লাগবে তারা কমেন্ট করে জানাতে পারো।নিচে কমেন্ট বক্সে।
ভালো থাকবে সবাই।                                            

Saturday, January 26, 2019

বিভ্রান্তিকর ভিডিও মুছে ফেলবে ইউটিউব।

বিভ্রান্তিকর ভিডিও মুছে ফেলবে ইউটিউব।


গুগলের ভিডিও সেবা ইউটিউবে ভিডিও দেখার হার বেড়েছে। তাই ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট রাখতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে গুগল। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কোনো সংবেদনশীল বিষয়ের ভিডিও তারা সামনে আনবে না বা দর্শককে দেখার জন্য পরামর্শ দেবে না। 

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের সাইটে অনেকেই সংবেদনশীল ভিডিও পোস্ট করে দর্শক টানার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা এ ধরনের ভিডিও দর্শকদের সামনে না আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যেসব বিষয় বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত তা ঘিরে নানা সন্দেহ তৈরির ভিডিও বা সন্দেহভাজন নানা বিষয়ে ভিডিও পোস্টগুলোকে দেখার সুপারিশ বন্ধ করে দেবে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার বিষয়ে সরকারি সংশ্লিষ্টতার সন্দেহভাজন ভিডিওর মতো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ ভিডিওগুলোকে প্রচার না করার কথা বলেছে ইউটিউব।
ভুয়া ভিডিও দেখানো নিয়ে অবশ্য বেশ চাপে আছে গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুক ও টুইটারের মতো ইউটিউবের ওপরেও চাপ বাড়ছে। এর আগে ভুয়া খবর ঠেকাতে ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হয়। এবারে ইউটিউবের কাছ থেকেও এ ধরনের ঘোষণা এল।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বিভ্রান্তিকর ভিডিওকে আর গুরুত্ব দেবে না।
অবশ্য, এ ধরনের ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলার বা পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেনি প্রতিষ্ঠানটি। শুধু এসব ভিডিওর সুপারিশ করা বন্ধ করবে বলে জানিয়েছে।
তথ্যবিষয়/সুজন
অতিরিক্ত সেলফি রোগের লক্ষণ! জেনে নিন।

অতিরিক্ত সেলফি রোগের লক্ষণ! জেনে নিন।


নতুন চাকরি থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়ি, মন খারাপ থেকে শুরু করে মন ভালো, নতুন জামা কেনা থেকে শুরু করে স্কুবা ড্রাইভিং সবখানেই সেলফি! শুরুতে সেলফি ব্যাপারটা মেয়েদের থাকলেও এখন ছেলেরাও পিছিয়ে নেই।
কিন্তু মূলত এক ধরনের অবসেসিভ ডিসঅর্ডারের জেরেই এই সেলফি তোলেন মানুষ। এবং তা এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যে, বিপজ্জনক সেলফি তোলা থেকেও বিরত হচ্ছে না মানুষ। তাতে প্রাণও যাচ্ছে, তবু হুঁশ ফেরে না। এবার এই সেলফি তোলার প্রবণতাকে অসুস্থতা হিসেবেই চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের একদল গবেষক তাদের গবেষণা শেষে প্রকাশ করেছে, সেলফি তোলা একটি মানসিক রোগ। এ গবেষক দল সেলফিতে আক্রান্ত হওয়া রোগের নাম দিয়েছেন সেলফাইটিস (Selfitis)।
এই সেলফির নেশা এক সময় মাদকের নেশার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সেলফি তোলা আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে উঠে এসেছে এ ভয়াবহ তথ্য। যারা সেলফি তোলে তারা মূলত এ সেলফিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য এক ধরনের পাগলামি করতে থাকেন।
গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন, এ সেলফাইটিস রোগের তিনটি ধাপ। ধাপগুলো হলো:
বর্ডার লাইন সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তা নিজের কাছেই রেখে দেবে। কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে না।
একিউট সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তিনটি ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
ক্রনিক সেলফাইটিস
এ ধাপে আক্রান্তরা সারাদিনে নিয়ন্ত্রণহীন তাড়না বা ইচ্ছা থেকে বিরামহীনভাবে যখন তখন সেলফি তুলবে এবং দিনে অন্তত ছয়টি বা এর বেশি সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
অন্যদিকে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা খুব বেশি সেলফি তোলে তারা সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয় প্রকাশ করে। তারা আরও বলেন, সেলফিতে আক্রান্তদের বেশিরভাগই কর্মজীবনে ও ব্যক্তিজীবনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় এবং সাধারণদের চেয়ে তাদের কনফিডেন্ট লেভেলও কম থাকে। তাই তারা অনেক সময় হতাশা বা মেন্টাল ডিপ্রেসনে আক্রান্ত হন। তাই যাদের খুব বেশি সেলফি তুলতে ইচ্ছা হয় ও যারা খুব বেশি সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকেন, তাদের অবশ্যই মনোচিকিৎসার প্রয়োজন।
অস্ট্রেলীয় একদল গবেষকের মতে, সেলফি তোলার এই রোগের রোগীরা শুধু সেলফি তুলেই ক্ষান্ত হন না, তারা তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না। তারা তাদের ছবিতে ভার্চুয়াল বন্ধুদের মন্তব্যও আশা করেন। আর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে তারা নিজেদের বিচার করা শুরু করলেই তা ‘ক্রনিক সেলফাইটিস’-এ রূপ নেয়। এভাবে ব্যক্তি তার নিজের অবস্থান ভুলে গিয়ে অন্যের বক্তব্যের ওপর বেশি নির্ভর করতে থাকেন। যাতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা কমতে থাকে দিনকে দিন। অতঃপর ব্যক্তি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ও দুর্বল হয়ে যান।
গবেষকরা বলছেন, সেলফিজনিত এই সমস্যা থেকে বের হতে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল জীবনের বাইরের সামাজিক জীবনে সময় কাটাতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আড্ডা এ ধরণের সমস্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
আমাদের মাঝে যারা খুব বেশি সেলফি ছবি তোলায় ব্যস্ত, তাদের আজ থেকেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত সেলফি তোলা থেকে নিজে বিরত থাকুন ও অন্যকেও বিরত থাকতে পরামর্শ দিন।
আপনার হ্যান্ডসেট বৈধ কিনা জেনে নিন।

আপনার হ্যান্ডসেট বৈধ কিনা জেনে নিন।


আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ কিনা তা যাচাই করতে প্রথমে হ্যান্ড সেটটির আইএমইআই বের করতে হবে। এটি আপনি মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকা প্যাকেটে বা সেটের কাভার বা ব্যাটারি খুললে পেতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে না পাওয়া গেলে *#০৬# ডায়াল করুন। এতে কোনো খরচ হবে না। এটি ডায়াল করলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর দেখতে পাবেন। পরবর্তী ব্যবহারের জন্য নম্বরটি লিখে রাখুন।
এরপর মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষরে কেওয়াইডি (KYD) লিখে একটি স্পেস দিয়ে ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বরটি লিখুন। এবার ১৬০০২ (16002) নম্বরে পাঠিয়ে দিন।
Example:-( KYD 123456789 to 16002)... 
ফিরতি এসএমএস বিটিআরসি জানিয়ে দেবে আপনার মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ। সুতারাং এখনি আপনার ফোন চেক করে নিন সেটি বৈধ নাকি অবৈধ।
Hawai এর ভাজ করা ৫জি স্মার্ট ফোন!

Hawai এর ভাজ করা ৫জি স্মার্ট ফোন!


পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক–সমর্থিত প্রথম ফোল্ডিং বা ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত এ ফোন বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে দেখাতে পারে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইয়ু সম্প্রতি এ তথ্য দেন। নতুন স্মার্টফোনে কিরিন ৯৮০ চিপসেট ও বেলং ৫০০০ মডেল ব্যবহৃত হবে।
গত বছরে মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করেন ইয়ু। তিনি বলেন, ‘জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও আমাদের শক্তিশালী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।’
হুয়াওয়ে এখন মার্কিন চিপ নির্মাতা ইনটেলের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে স্মার্টফোন ও সার্ভারের জন্য নিজস্ব শক্তিশালী চিপ তৈরি করেছে। তবে হুয়াওয়ে নিজস্ব চিপসেট শুধু নিজেদের পণ্যে ব্যবহার করে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, মার্কিন চিপ নির্মাতা কোয়ালকমের নানা ধরনের পণ্য থাকলেও হুয়াওয়ে প্রায় তাদের ছুঁয়ে ফেলেছে।

তথ্যবিষয়/স্টাফ রিপোর্টার। 
পল্লিমঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমী এন্ড কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।

পল্লিমঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমী এন্ড কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।

পল্লিমঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমী এন্ড কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০১৯.....

আবেদনের শেষ তারিখঃ ২০-২-২০১৯।
বিস্তারিত সার্কুলারে দেখুন।
মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার কি বলেছিল?- জেনে নিন।

মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার কি বলেছিল?- জেনে নিন।


মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজেন্ডার তার সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
★ আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছেঃ-
শুধু আমার চিকিৎসকরাই আমার কফিন বহন করবেন।
★ আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছেঃ-
আমার কফিন যে পথ দিয়ে যাবে সেই পথে আমার অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে।
★ আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছেঃ- 
কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখবে।’
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন।
দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন:- আমি দুনিয়ার সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই
 আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই কারনে বলেছি যে,  যাতে লোকে বলতে পারে যে চিকিৎসক মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না। তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।
 যাবার পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি যে সোনা-দানার একটা কণাও আমার সঙ্গে যাবে না। এগুলো পাওয়ার জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না। মানুষ বুঝুক এসবের পেছনে ছোটা মানে সময়ের অপচয়।’
 কফিনের বাইরে আমার হাত ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে বুঝানোর জন্য যে , পৃথিবীতে খালি হাতে এসেছি আজ পৃথিবী থেকে খালি হাতেই চলে যাচ্ছি।

তথ্যবিষয়/সুজন
গণিত শাস্ত্রে যাদের বিশেষ অবদান ছিল।

গণিত শাস্ত্রে যাদের বিশেষ অবদান ছিল।


বিশ্বের সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত অনেক গণিতবিদ জন্ম হয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছেই আমরা কৃতজ্ঞ। তবে শ্রেষ্ট প্রথম ১০ জন গণিতবিদের নাম নিচে আলোচনা করা হলো।

১.আর্কিমিডিস (সর্বকালের শ্রেষ্ট গণিত - পদার্থবিদ, খ্রিস্ট পূর্ব ২১২-২৮৭)।

২. স্যার আইজাক নিউটন (সর্বকালের শ্রেষ্ট গণিত - পদার্থবিদ, ১৬৪৩-১৭২৭)।

৩. যোহান কার্ল ফ্রেডরিচ গাউস (সর্বকালের শ্রেষ্ট গণিত যুবরাজ, ১৭৭৭-১৮৮৫)।

৪. নিউনার্দো অয়লার (সুইজারল্যান্ড - রাশিয়ার শ্রেষ্ট গণিতবিদ, ১৭০৭-১৭৮৩)।

৫. আলবার্ট আইনস্টাইন (জার্মানির জগৎখ্যাত তাত্ত্বিক গণিত - পদার্থবিদ)।

৬. আল খোয়ারেজমি (এ্যালজাবরার জনক আরব গণিত সম্রাট,৭৮০-৮৫০)।

৭. ইউক্লিড (জ্যামিতির জনক শ্রেষ্ট মিশরীয় গণিতবিদ,  ৩২৫-২৬৫)।

৮. কার্ল পিয়ারসন(ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ট গণিত - পরিসংখ্যানবিদ, ১৮৫৭-১৯৩৬)।

৯. রেনে দেকার্তে(স্থানাংক জ্যামিতির জনক ফেন্স গণিত - দার্শনিক, ১৫৯৬-১৬৫০)।

১০. জর্জ ক্যান্টর(রাশিয়ার বিখ্যাত সেটতত্ত্বের জনক গণিত - দার্শনিক, ১৮৪৫-১৯১৮)।                          

Saturday, January 19, 2019

হরিন ও তার সিদ্ধান্ত (গল্প)-লিখেছেন শাখাওয়াত হোসেন।

হরিন ও তার সিদ্ধান্ত (গল্প)-লিখেছেন শাখাওয়াত হোসেন।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম   

গল্পের নাম- হরিণ ও তার সিদ্ধান্ত।
লিখেছেনঃ-শাখাওয়াত হোসেন শিমুল।

একদা একটি হরিণ এক বনে বাস করতো। হরিণটি তার নিজের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য খাবার সন্ধানে বের হলো।এক পর্যায়ে খাবার সন্ধান করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো।

"কখন যে সন্ধ্যা হলো টের ই পেলাম না," এমনটা বলতে লাগলো হরিণটি।

চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছিল।এখন সে ঠিক করলো তাকে নিজ গন্তব্যে যেতে হবে।সে আগে থেকেই সব জানে কোন পথ দিয়ে গেলে বিপদে পড়বে এবং কোন পথ দিয়ে গেলে বিপদে পড়বে না।
সে দেখলো যে পথটা বাকা হয়ে চলে গেছে ওই পথটা দিয়ে গেলে সময় কম লাগবে তবে শঙ্কার বিষয় হলো ওই পথটায় হিংস্র জানোয়াররা সন্ধ্যার পর ঘোরাঘুরি করে। আর সোজা যে পথটা চলে গেছে সেটা আশংকামুক্ত তবে সময় বেশি লাগবে, হিংস্র জানোয়াররা এই পথে আসে না।

এতক্ষণ হরিণটি দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছিল। এদিক দিয়ে অন্ধকার আরো ঘনীভূত হয়ে আসছিল।সে সিদ্ধান্ত নিল আমি কাছের যে  রাস্তাটা ওইটা দিয়েই যাব।যদি হিংস্র জানোয়ার আক্রমণ করে  দৌড়ে পালাবো।এই বলে সে রওনা শুরু করলো।যেতে যেতে মনে মনে ভাবতেছে সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল।
ভাবতেছিল আর সামনের দিকে একপা একপা করে অগ্রসর হচ্ছিল। হঠাৎ আচমকা ৪-৫ টা বাঘ তাকে ঘিরে ধরলো।সে পালাতে চাইলো কিন্তু বাঘের সংখ্যা অধিক হওয়ার কারনে পালাতে পারলো না।সে তার ভুল বুঝতে পারলো তার নিজের জীবন দিয়ে। 

শিক্ষাঃ- আমাদেরকে অনেক সময় খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।যার ফলে আমরা যেকোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে যায়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও কিছু সময় থাকে ভাবার যে, সিদ্ধান্তটা আমার ঠিক হবে না ভুল হবে।তাই হুটহাট করে হরিণের মতো সিদ্ধান্ত নিলে এমনটা হবেই এবং সেটা স্বাভাবিক।                                 
  

Thursday, January 17, 2019

বন্ধ হচ্ছে সাত দিনের নিচে মোবাইল ফোনের সব প্যাকেজ!!

বন্ধ হচ্ছে সাত দিনের নিচে মোবাইল ফোনের সব প্যাকেজ!!


অবশেষে বন্ধ হচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলোর ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্যাকেজ, তিন দিনের প্যাকেজ, ৫ দিনের প্যাকেজসহ সবগুলো ছোট প্যাকেজ। এ সব ছোট প্যাকেজে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। আগামী ২৭ জানুয়ারির পর থেকে ৭ দিনের নিচে টকটাইম বা ইন্টারনেটের আর কোনো প্যাকেজ থাকবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এটা মানার ব্যাপারেও সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
গতকাল বুধবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
টেলিযোগাযোগ খাতে ২০১৮ সাল অর্জন ও সফলতার বছর ছিল উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, চলতি বছরে সেবার মান উন্নত করার ওপরই জোর দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা কিংবা অজুহাত গ্রাহ্য করবে না বিটিআরসি। টিআরএনবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ছাড়াও দুজন কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও কমিশন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল ফোনের ছোট প্যাকেজগুলো কিনে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। ওই প্যাকেজগুলো কম টাকায় দিলেও ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো গ্রাহকরা শেষ করতে পারতেন না। ফলে তার বেঁচে যাওয়া ইন্টারনেট নষ্ট হয়ে যেত। আবার তাকে কিনতে হতো। অন্তত ৭ দিনের প্যাকেজ থাকলেও গ্রাহক হিসেব করে খরচ করতে পারেন।
জহুরুল হক বলেন, ‘যে অপারেটরের কোয়ালিটি খারাপ তাকে আমরা নোটিশ দিচ্ছি, শোকজ করছি। প্রয়োজন হলে আইনানুগ আচরণ করবো। এ বছর কোয়ালিটি ডেভেলপ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি। মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেও কল ড্রপ হচ্ছে। একদিন মন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমি মন্ত্রী আপনি চেয়ারম্যান। আপনার সঙ্গে কথা বললাম তাও ড্রপ হয়ে গেল, অন্যদের কথা কি বলব?’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল অপারেটরদের কোয়ালিটি র্যাংকিংয়ের জন্য একটি কোম্পানি নিয়োগ করা হচ্ছে, যার ফলাফল দিয়ে র্যাংকিং করা হবে। এর ফলাফল ওয়েবসাইটে থাকবে, যার ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক অপারেটর পছন্দ করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই তা করে ফেলতে পারবো। তিনি বলেন, কোয়ালিটির জন্য পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম থাকতে হবে। অপারেটররা বুঝতে পেরেছে স্পেকট্রাম কম থাকলে কোয়ালিটি ডেভেলপ করা যাবে না। এ জন্য তারা চেষ্টা করছে আলোচনার জন্য, আমরা দেখছি কী করা যায়?
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি শিরোনামে প্রবিধানমালা করা হচ্ছে। জানা গেছে, সেখানে বলা হয়েছে, কোনো মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা, বার্ষিক রাজস্ব বা বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গের পরিমাণ বাজারের মোট হিস্যার ৪০ শতাংশের বেশি হলে তাকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ ঘোষণা করা যাবে। ওই কোম্পানি দানবীয় আকার নিয়ে যাতে বাজার গ্রাস বা প্রতিযোগিতার পথ রুদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যা রয়েছে কেবল গ্রামীণফোনের। তাদের গ্রাহক ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। জহুরুল হক বলেছেন, এসএমপি হয়ে গেলে সবাই ব্যবসা করতে পারবে। কারও গ্রাহক ৪০ শতাংশের বেশি হবে না। আগামী কমিশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
জানা গেছে, বার্ষিক রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে গ্রামীণফোন আরও এগিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাজারের মোট রাজস্ব আয়ের ৫৩ শতাংশ পেয়েছে তারা। বাজারে একক কর্তৃত্বের পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ, বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ’, অধিগ্রহণ বা একীভূতকরণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে এসএমপি প্রবিধানমালায়। এই নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিটিআরসির হাতে।
ডায়েরি (গল্প)  - লিখেছেন সাদ সাইফ।

ডায়েরি (গল্প) - লিখেছেন সাদ সাইফ।



অয়ন! এই অয়ন। উঠলি না এখনো। ওদিকে মসজিদে ফজরের জামাত শেষ হয়ে গেল যে! সান্ত¡নার ডাক শুনেই ‘জি বুবু’ বলে তড়িঘড়ি ওঠে পড়ে অয়ন। তারপর অজু বানিয়ে মসজিদের দিকে পা বাড়ায় সে।
সান্ত¡নাও অজু বানিয়ে নেয় নামাজের জন্য। এই হলো সান্ত¡না ও অয়নের দিনের প্রথম কাজ। এদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। সান্ত¡না ক্লাস এইটে আর অয়ন সবেমাত্র ক্লাস ফাইভে। মেধার বিচারে সান্ত¡না অয়নের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সম্পর্কের বিচারে তারা দু’জনই সমান। দু’জনের ভেতরে ভালোবাসার কোন কমতি নেই। মোদ্দাকথা অয়ন খুশি সান্ত¡নার মত একটা বোন পেয়ে। আর সান্ত¡নাও খুশি অয়নের মত একটা স্নেহের ছোট ভাই পেয়ে। বলতে গেলে দু’ভাই-বোনের এমন হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কে খুশি তাদের মা-বাবাও। এমনই তো চেয়েছিলেন তারা।
মসজিদ থেকে ফিরে এসে অয়ন আস্তে করে হাঁক দেয়, ‘বুবু’, কোথায় গেলে? ক্ষুধা লেগেছে তো। এটা অয়নের নিত্যদিনের কাজ। নামাজ শেষ হলে বাড়িতে এসে ক্ষুধা বেশি লাগুক বা কম লাগুক বুবুর হাতের নাস্তা তার খাওয়া চাই-ই চাই। এটা অয়নের নৈমিত্তিক কাজ। এইতো কিছুদিন আগেও অয়ন ফজরের নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে ‘বুবু’ বলে ছোট্ট করে ডাক দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ভেতরে যায় সে। গিয়ে দেখে বুবু তার জন্য নাস্তা তৈরি করছে।
অয়নের উপস্থিতি দেখে সান্ত¡না বলল, ‘ভাইয়া তুমি এসে গেছ?’ অয়ন কিছুটা অভিমানের সুরে বলল, ‘পেটে ওদিকে ছুঁচো দৌড়াচ্ছে।’ সান্ত¡না বলে উঠল, ‘এইতো দিচ্ছি ভাইয়া।’ এরপর থেকে সান্ত¡না অয়নের জন্য যথাসম্ভব দ্রুত খেতে দেয়ার চেষ্টা করে। যাতে ভাইটি কষ্ট না পায়। ছোট্ট ভাইটির ছোট-ছোট আবদারগুলোও পূরণ করে করে সান্ত¡না। তাই অয়নও তার বুবুর কাছে আবদার করে। প্রতিদিনকার মতো আজও সান্ত¡না তার স্নেহের ছোট্ট ভাইটির জন্য সকালের নাস্তা রেডি করে রেখেছে। আজকে অয়নের মধ্যে কেমন একটা বিচলিত ভাব দেখতে পেল সান্ত¡না। তাই উৎসুক ভঙ্গিতে বলল, ‘ভাইয়া, কিছু কি বলতে চাচ্ছ আমায়?’ মাথা নেড়ে হ্যাঁসূচক ইঙ্গিতে অয়ন বলে, ‘বুবু, আমাকে একটা জিনিস কিনে দিবা?’
– ‘কী জিনিস?’
– ‘আগে দিবা কিনা তাই বলো?’
– হ্যাঁ, আগে নামটা তো বলো।
– একটা ডায়েরি।
– ‘ও আচ্ছা, কিনে দেব। কিন্তু আমাকে আগে বলো ডায়েরিটা দিয়ে করবেটা কী?’ অয়ন সূরা আসর তেলাওয়াত করে অতঃপর বলে, সময়ের কসম! সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং একজন অন্যজনকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে। এরপর অয়ন বলে, ডায়েরিটায় আমি আমার সারাদিনের কাজ লিখে রাখব। দিনের মধ্যে কত ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়লাম, কত ওয়াক্ত কাজা পড়লাম, কত সময় বই পড়ছি, খেলা করছি, অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করছি সবই লিখে রাখব তাতে। তাহলে দিনের ভেতর যে সময়টুকু অপব্যয় করছি আস্তে আস্তে তা আর হবে না। এবং একদিন দেখা যাবে আমার কোন সময়ই বাজে কাজে নষ্ট হচ্ছে না। ভাইটির মুখে এমন কথা শুনে সান্ত¡না মহান রবের কাছে শুকরিয়া আদায় করে।
আর এই আনন্দে চোখ থেকে দু’ফোঁটা অশ্রু কখন যে তার হাতে পড়ল খেয়ালই করেনি সে….।