বিজ্ঞান বলে, মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে একদিন এই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল। প্রথমে মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ছিল বিশাল। বিস্ফোরণের পর মহাবিশ্ব দ্রুত প্রসারিত হয়। তত এর তাপমাত্রা কমতে থাকে। তাপমাত্রা কমার পর প্রথমেই সৃষ্টি বস্তুকণা। কোয়ার্ক, প্রোটন, ইলেক্ট্রন, নিউট্রন, নিউট্রোনো ইত্যাদি। কণাগুলো সৃষ্টি হওয়ার পর ওদের ভেতর আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। এই আকর্ষণ বল হলো মহাকর্ষ বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল। বস্তুকণা পরস্পরের কাছাকাছি আসতে শুরু করে। তাপমাত্রা তখনও কমছে। ফলে বস্তুকণাগুলো আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। কণাগুলো যত কাছাকাছি আসে, তাদের ভেতর আকর্ষণ বলও তত শক্তিশালী হয়। ফলে ইলেক্ট্রন, প্রোট্রোন আর নিউট্রন মিলে জন্ম হয় গ্যাসীয় পরমাণুর। কাছাকাছি পরমাণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। ফলে ঘন হতে শুরু করে গ্যাসীয় পরমাণুগুলো।
ধীরে ধীরে মহাশূন্যের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের পরমাণুগুলো যুক্ত হয়ে তৈরি করে বিরাট গ্যাসের গোলক। বিশাল তাপমাত্রার গোলক। এই গোলকগুলো হলো একেকটা নক্ষত্র। তারপর নক্ষত্রগুলোর ভেতরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। নক্ষত্রগুলোর ভেতর নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বলে নক্ষত্রগুলো। সেসময় অনেক ছোট ছোট গ্যাস পিন্ডেরও জন্ম হয়। সেগুলো তাপমাত্রা কমতে কমতে একসময় গ্যাসীয় পরমাণুগুলো ঠান্ডা হয়ে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। তৈরি হয় গ্রহ। তেমনই এক গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবী গোল কেন? বাঁকাও তো হতে পারত?
পারত। কিন্তু হয়নি। কারণ, গ্যাসীয় পরণুগুলো যত আসার সময় এর একটা পরমাণুর চারপাশে অংসংখ্য পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলাকার আকৃতি পায়। সেই পরমাণু গোলককে ঘিরে আরও অনেক পরমাণু ভিড় করে। ফলে গোলকটা আরও বড় হয়। এভাবে এক সময় বিরাট গোলক তৈরি হয়। ফলে নক্ষত্রগুলো হয় গোলাকার। আবার ছোট গ্যাসপিন্ডগুলো ঠান্ডা হলে ও ওদের আকার গোলই থাকে। অন্য সহ-উপগ্রহ নক্ষত্রের মতো পৃথিবীও গোলাকার।
0 coment rios: