বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
লিখেছেনঃ-শাখাওয়াত হোসেন শিমুল।
একদা একটি হরিণ এক বনে বাস করতো। হরিণটি তার নিজের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য খাবার সন্ধানে বের হলো।এক পর্যায়ে খাবার সন্ধান করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো।
"কখন যে সন্ধ্যা হলো টের ই পেলাম না," এমনটা বলতে লাগলো হরিণটি।
চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছিল।এখন সে ঠিক করলো তাকে নিজ গন্তব্যে যেতে হবে।সে আগে থেকেই সব জানে কোন পথ দিয়ে গেলে বিপদে পড়বে এবং কোন পথ দিয়ে গেলে বিপদে পড়বে না।
সে দেখলো যে পথটা বাকা হয়ে চলে গেছে ওই পথটা দিয়ে গেলে সময় কম লাগবে তবে শঙ্কার বিষয় হলো ওই পথটায় হিংস্র জানোয়াররা সন্ধ্যার পর ঘোরাঘুরি করে। আর সোজা যে পথটা চলে গেছে সেটা আশংকামুক্ত তবে সময় বেশি লাগবে, হিংস্র জানোয়াররা এই পথে আসে না।
এতক্ষণ হরিণটি দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছিল। এদিক দিয়ে অন্ধকার আরো ঘনীভূত হয়ে আসছিল।সে সিদ্ধান্ত নিল আমি কাছের যে রাস্তাটা ওইটা দিয়েই যাব।যদি হিংস্র জানোয়ার আক্রমণ করে দৌড়ে পালাবো।এই বলে সে রওনা শুরু করলো।যেতে যেতে মনে মনে ভাবতেছে সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল।
ভাবতেছিল আর সামনের দিকে একপা একপা করে অগ্রসর হচ্ছিল। হঠাৎ আচমকা ৪-৫ টা বাঘ তাকে ঘিরে ধরলো।সে পালাতে চাইলো কিন্তু বাঘের সংখ্যা অধিক হওয়ার কারনে পালাতে পারলো না।সে তার ভুল বুঝতে পারলো তার নিজের জীবন দিয়ে।
শিক্ষাঃ- আমাদেরকে অনেক সময় খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।যার ফলে আমরা যেকোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে যায়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও কিছু সময় থাকে ভাবার যে, সিদ্ধান্তটা আমার ঠিক হবে না ভুল হবে।তাই হুটহাট করে হরিণের মতো সিদ্ধান্ত নিলে এমনটা হবেই এবং সেটা স্বাভাবিক।
সুন্দর হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে গল্পটি সাজিয়েছেন।ধন্যবাদ।
ReplyDelete