Tuesday, January 15, 2019

চাদেঁ গজিয়েছে তুলাগাছ!!

গত ১২ জানুয়ারি গ্রহণ করা এবং ১৫ জানুয়ারি চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে চাং’ই-৪ ল্যান্ডার কর্তৃক বহন করে নিয়ে যাওয়া তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে।

চাঁদে পাঠানো চীনের ল্যান্ডার বোর্ডে বপন করা তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
চংকিং ইউনিভার্সিটির অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ছবিগুলো অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে চাং ই-৪ ল্যান্ডারটি স্থাপন করার পর একটি জালের মতো কাঠামোর একটি ছোট বাক্সের ভেতর থেকে উদ্ভিদের কচিপাতা বের হয়েছে। মঙ্গলবার এই পরীক্ষাটির পরিকল্পনায় নেতৃত্বদানকারী জাইয়ি জেঞ্জজিং বলেছে, প্রথমবার মানুষ চাঁদের পিঠে জৈবিক বিকাশের পরীক্ষা করছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে রোভার ল্যান্ডার নানা উপকরণ নিয়ে যাওয়া চীনের নভোযানটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। চাং ই-৪ নামের এই অভিযান শুরু হয়েছিল গত ৭ ডিসেম্বর আর এটি চাঁদের উল্টো দিকে বা অন্ধকার পিঠ স্পর্শ করেছিল গত ৩ জানুয়ারি। চাঁদে এর অবতরণ মহাকাশে পরাশক্তি হওয়ার চীনের উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা চাঁদে ক্ষুদ্র জীবমণ্ডল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন এবং পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারা ১৮ সেন্টিমিটারের (সাত ইঞ্চি) বালতির মতো পাত্রে বায়ু, পানি ও মাটি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে তুলো, একটি ক্ষুদ্র আরাবিডোপিসিস, চাষাবাদের জন্য সরিষার গাছ এবং আলুর বীজ, সেই সাথে ফল-ফুলের বীজ ও খামির রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, চাঁদ থেকে পাঠানো চিত্রগুলোতে দেখা যায় যে, তুলো গাছ ভালোভাবেই জন্মেছে তবে অন্য গাছ জন্মানোর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। চাঁদের পরিবেশ, মহাজাগতিক বিকিরণ এবং সৌরবায়ু এবং চাঁদের পৃষ্ঠের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সুইডেন, জার্মানি এবং চীনের বিজ্ঞানীদের অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত উন্নত উপকরণাদি দিয়ে চাং ই-৪ কে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্যানারমিক ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে নভোযানটি ‘ভন কারমান ক্র্যাটার’ অংশে ল্যান্ডিং সাইটের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছে। ল্যান্ডারটি প্রকাশিত ইউটু-২ (জেড রব্বিট) নামক রোভার ভন কারম্যান ক্র্যাটার অংশে পরীক্ষা চালাবে।
সংস্থাটি জানায়, চারটি চন্দ্র মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো নমুনা ও প্রমাণের আলোকে বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। চাইনিজ স্পেস এজেন্সি সোমবার জানিয়েছে, চীন একদিন চাঁদ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সম্ভবত এটি নির্মাণের জন্য থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

সূত্রঃ-নয়াদিগন্ত। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: