Thursday, January 17, 2019

বন্ধ হচ্ছে সাত দিনের নিচে মোবাইল ফোনের সব প্যাকেজ!!

বন্ধ হচ্ছে সাত দিনের নিচে মোবাইল ফোনের সব প্যাকেজ!!


অবশেষে বন্ধ হচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলোর ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্যাকেজ, তিন দিনের প্যাকেজ, ৫ দিনের প্যাকেজসহ সবগুলো ছোট প্যাকেজ। এ সব ছোট প্যাকেজে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। আগামী ২৭ জানুয়ারির পর থেকে ৭ দিনের নিচে টকটাইম বা ইন্টারনেটের আর কোনো প্যাকেজ থাকবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এটা মানার ব্যাপারেও সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
গতকাল বুধবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
টেলিযোগাযোগ খাতে ২০১৮ সাল অর্জন ও সফলতার বছর ছিল উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, চলতি বছরে সেবার মান উন্নত করার ওপরই জোর দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা কিংবা অজুহাত গ্রাহ্য করবে না বিটিআরসি। টিআরএনবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ছাড়াও দুজন কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও কমিশন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল ফোনের ছোট প্যাকেজগুলো কিনে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। ওই প্যাকেজগুলো কম টাকায় দিলেও ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো গ্রাহকরা শেষ করতে পারতেন না। ফলে তার বেঁচে যাওয়া ইন্টারনেট নষ্ট হয়ে যেত। আবার তাকে কিনতে হতো। অন্তত ৭ দিনের প্যাকেজ থাকলেও গ্রাহক হিসেব করে খরচ করতে পারেন।
জহুরুল হক বলেন, ‘যে অপারেটরের কোয়ালিটি খারাপ তাকে আমরা নোটিশ দিচ্ছি, শোকজ করছি। প্রয়োজন হলে আইনানুগ আচরণ করবো। এ বছর কোয়ালিটি ডেভেলপ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি। মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেও কল ড্রপ হচ্ছে। একদিন মন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমি মন্ত্রী আপনি চেয়ারম্যান। আপনার সঙ্গে কথা বললাম তাও ড্রপ হয়ে গেল, অন্যদের কথা কি বলব?’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল অপারেটরদের কোয়ালিটি র্যাংকিংয়ের জন্য একটি কোম্পানি নিয়োগ করা হচ্ছে, যার ফলাফল দিয়ে র্যাংকিং করা হবে। এর ফলাফল ওয়েবসাইটে থাকবে, যার ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক অপারেটর পছন্দ করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই তা করে ফেলতে পারবো। তিনি বলেন, কোয়ালিটির জন্য পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম থাকতে হবে। অপারেটররা বুঝতে পেরেছে স্পেকট্রাম কম থাকলে কোয়ালিটি ডেভেলপ করা যাবে না। এ জন্য তারা চেষ্টা করছে আলোচনার জন্য, আমরা দেখছি কী করা যায়?
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি শিরোনামে প্রবিধানমালা করা হচ্ছে। জানা গেছে, সেখানে বলা হয়েছে, কোনো মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা, বার্ষিক রাজস্ব বা বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গের পরিমাণ বাজারের মোট হিস্যার ৪০ শতাংশের বেশি হলে তাকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ ঘোষণা করা যাবে। ওই কোম্পানি দানবীয় আকার নিয়ে যাতে বাজার গ্রাস বা প্রতিযোগিতার পথ রুদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যা রয়েছে কেবল গ্রামীণফোনের। তাদের গ্রাহক ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। জহুরুল হক বলেছেন, এসএমপি হয়ে গেলে সবাই ব্যবসা করতে পারবে। কারও গ্রাহক ৪০ শতাংশের বেশি হবে না। আগামী কমিশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
জানা গেছে, বার্ষিক রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে গ্রামীণফোন আরও এগিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাজারের মোট রাজস্ব আয়ের ৫৩ শতাংশ পেয়েছে তারা। বাজারে একক কর্তৃত্বের পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ, বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ’, অধিগ্রহণ বা একীভূতকরণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে এসএমপি প্রবিধানমালায়। এই নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিটিআরসির হাতে।
ডায়েরি (গল্প)  - লিখেছেন সাদ সাইফ।

ডায়েরি (গল্প) - লিখেছেন সাদ সাইফ।



অয়ন! এই অয়ন। উঠলি না এখনো। ওদিকে মসজিদে ফজরের জামাত শেষ হয়ে গেল যে! সান্ত¡নার ডাক শুনেই ‘জি বুবু’ বলে তড়িঘড়ি ওঠে পড়ে অয়ন। তারপর অজু বানিয়ে মসজিদের দিকে পা বাড়ায় সে।
সান্ত¡নাও অজু বানিয়ে নেয় নামাজের জন্য। এই হলো সান্ত¡না ও অয়নের দিনের প্রথম কাজ। এদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। সান্ত¡না ক্লাস এইটে আর অয়ন সবেমাত্র ক্লাস ফাইভে। মেধার বিচারে সান্ত¡না অয়নের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সম্পর্কের বিচারে তারা দু’জনই সমান। দু’জনের ভেতরে ভালোবাসার কোন কমতি নেই। মোদ্দাকথা অয়ন খুশি সান্ত¡নার মত একটা বোন পেয়ে। আর সান্ত¡নাও খুশি অয়নের মত একটা স্নেহের ছোট ভাই পেয়ে। বলতে গেলে দু’ভাই-বোনের এমন হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কে খুশি তাদের মা-বাবাও। এমনই তো চেয়েছিলেন তারা।
মসজিদ থেকে ফিরে এসে অয়ন আস্তে করে হাঁক দেয়, ‘বুবু’, কোথায় গেলে? ক্ষুধা লেগেছে তো। এটা অয়নের নিত্যদিনের কাজ। নামাজ শেষ হলে বাড়িতে এসে ক্ষুধা বেশি লাগুক বা কম লাগুক বুবুর হাতের নাস্তা তার খাওয়া চাই-ই চাই। এটা অয়নের নৈমিত্তিক কাজ। এইতো কিছুদিন আগেও অয়ন ফজরের নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে ‘বুবু’ বলে ছোট্ট করে ডাক দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ভেতরে যায় সে। গিয়ে দেখে বুবু তার জন্য নাস্তা তৈরি করছে।
অয়নের উপস্থিতি দেখে সান্ত¡না বলল, ‘ভাইয়া তুমি এসে গেছ?’ অয়ন কিছুটা অভিমানের সুরে বলল, ‘পেটে ওদিকে ছুঁচো দৌড়াচ্ছে।’ সান্ত¡না বলে উঠল, ‘এইতো দিচ্ছি ভাইয়া।’ এরপর থেকে সান্ত¡না অয়নের জন্য যথাসম্ভব দ্রুত খেতে দেয়ার চেষ্টা করে। যাতে ভাইটি কষ্ট না পায়। ছোট্ট ভাইটির ছোট-ছোট আবদারগুলোও পূরণ করে করে সান্ত¡না। তাই অয়নও তার বুবুর কাছে আবদার করে। প্রতিদিনকার মতো আজও সান্ত¡না তার স্নেহের ছোট্ট ভাইটির জন্য সকালের নাস্তা রেডি করে রেখেছে। আজকে অয়নের মধ্যে কেমন একটা বিচলিত ভাব দেখতে পেল সান্ত¡না। তাই উৎসুক ভঙ্গিতে বলল, ‘ভাইয়া, কিছু কি বলতে চাচ্ছ আমায়?’ মাথা নেড়ে হ্যাঁসূচক ইঙ্গিতে অয়ন বলে, ‘বুবু, আমাকে একটা জিনিস কিনে দিবা?’
– ‘কী জিনিস?’
– ‘আগে দিবা কিনা তাই বলো?’
– হ্যাঁ, আগে নামটা তো বলো।
– একটা ডায়েরি।
– ‘ও আচ্ছা, কিনে দেব। কিন্তু আমাকে আগে বলো ডায়েরিটা দিয়ে করবেটা কী?’ অয়ন সূরা আসর তেলাওয়াত করে অতঃপর বলে, সময়ের কসম! সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থেকেছে এবং একজন অন্যজনকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থেকেছে। এরপর অয়ন বলে, ডায়েরিটায় আমি আমার সারাদিনের কাজ লিখে রাখব। দিনের মধ্যে কত ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়লাম, কত ওয়াক্ত কাজা পড়লাম, কত সময় বই পড়ছি, খেলা করছি, অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করছি সবই লিখে রাখব তাতে। তাহলে দিনের ভেতর যে সময়টুকু অপব্যয় করছি আস্তে আস্তে তা আর হবে না। এবং একদিন দেখা যাবে আমার কোন সময়ই বাজে কাজে নষ্ট হচ্ছে না। ভাইটির মুখে এমন কথা শুনে সান্ত¡না মহান রবের কাছে শুকরিয়া আদায় করে।
আর এই আনন্দে চোখ থেকে দু’ফোঁটা অশ্রু কখন যে তার হাতে পড়ল খেয়ালই করেনি সে….।

Wednesday, January 16, 2019

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৯

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৯

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০১৯... বিস্তারিত পড়ুন।
 
■ Educational Requirements: See Job Circular Image

■ Experience Requirements: See Job Circular Image

■ Number of Job Vacancy: as per circular

■ Age Limit for Jobs: See Job Circular Image

■ Jobs Location: Anywhere in Bangladesh.

■ Job Source: Online job portal

■ Job Nature: Full-time

■ Employment Type: Permanent Job

■ Job Category: Privet job

■ Applying Procedure: Mention in Job Circular Image.


Tuesday, January 15, 2019

চাদেঁ গজিয়েছে তুলাগাছ!!

চাদেঁ গজিয়েছে তুলাগাছ!!

গত ১২ জানুয়ারি গ্রহণ করা এবং ১৫ জানুয়ারি চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে চাং’ই-৪ ল্যান্ডার কর্তৃক বহন করে নিয়ে যাওয়া তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে।

চাঁদে পাঠানো চীনের ল্যান্ডার বোর্ডে বপন করা তুলার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সবুজ রঙের ক্ষুদ্র পাতা গজিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
চংকিং ইউনিভার্সিটির অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ছবিগুলো অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতে চাং ই-৪ ল্যান্ডারটি স্থাপন করার পর একটি জালের মতো কাঠামোর একটি ছোট বাক্সের ভেতর থেকে উদ্ভিদের কচিপাতা বের হয়েছে। মঙ্গলবার এই পরীক্ষাটির পরিকল্পনায় নেতৃত্বদানকারী জাইয়ি জেঞ্জজিং বলেছে, প্রথমবার মানুষ চাঁদের পিঠে জৈবিক বিকাশের পরীক্ষা করছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে রোভার ল্যান্ডার নানা উপকরণ নিয়ে যাওয়া চীনের নভোযানটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। চাং ই-৪ নামের এই অভিযান শুরু হয়েছিল গত ৭ ডিসেম্বর আর এটি চাঁদের উল্টো দিকে বা অন্ধকার পিঠ স্পর্শ করেছিল গত ৩ জানুয়ারি। চাঁদে এর অবতরণ মহাকাশে পরাশক্তি হওয়ার চীনের উচ্চাকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা চাঁদে ক্ষুদ্র জীবমণ্ডল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন এবং পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারা ১৮ সেন্টিমিটারের (সাত ইঞ্চি) বালতির মতো পাত্রে বায়ু, পানি ও মাটি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে তুলো, একটি ক্ষুদ্র আরাবিডোপিসিস, চাষাবাদের জন্য সরিষার গাছ এবং আলুর বীজ, সেই সাথে ফল-ফুলের বীজ ও খামির রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, চাঁদ থেকে পাঠানো চিত্রগুলোতে দেখা যায় যে, তুলো গাছ ভালোভাবেই জন্মেছে তবে অন্য গাছ জন্মানোর কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। চাঁদের পরিবেশ, মহাজাগতিক বিকিরণ এবং সৌরবায়ু এবং চাঁদের পৃষ্ঠের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া নিয়ে সুইডেন, জার্মানি এবং চীনের বিজ্ঞানীদের অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত উন্নত উপকরণাদি দিয়ে চাং ই-৪ কে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্যানারমিক ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে নভোযানটি ‘ভন কারমান ক্র্যাটার’ অংশে ল্যান্ডিং সাইটের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছে। ল্যান্ডারটি প্রকাশিত ইউটু-২ (জেড রব্বিট) নামক রোভার ভন কারম্যান ক্র্যাটার অংশে পরীক্ষা চালাবে।
সংস্থাটি জানায়, চারটি চন্দ্র মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো নমুনা ও প্রমাণের আলোকে বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। চাইনিজ স্পেস এজেন্সি সোমবার জানিয়েছে, চীন একদিন চাঁদ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সম্ভবত এটি নির্মাণের জন্য থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

সূত্রঃ-নয়াদিগন্ত। 
ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে কানাডায়!

ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে কানাডায়!

পৃথিবী ভিন্ন অন্য গ্রহগুলোতে কোনো প্রাণী রয়েছে কীনা তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। কল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্রে কখনো কখনো ভিনগ্রহীদের চোখে পড়ে। কিন্তু বাস্তবে এখন পর্যন্ত মানুষ সত্যিকার অর্থে ভিনগ্রহীর দেখা পায়নি। তবে এবার বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের সাহায্যে ভিনগ্রহীর অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছেন। ‘কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (কাইম)’ প্রকল্পের টেলিস্কোপের নজরে ধরা পড়া সেই আলোকে একটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই দু’মাসের মধ্যে অন্তত ১৩ বার জ্বলতে আর নিভতে দেখা গিয়েছে। সেই আলোকে একই জায়গায় অন্তত ৬ বার জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওই আলোর ঝলকানিগুলির ‘কারিগর’ আসলে ভিনগ্রহীরা! তারাই বোধহয় বিশাল বিশাল আতসবাজি ফাটাচ্ছে! সেটাই অত শক্তিশালী, অত উজ্জ্বল আলোর ঝলক তৈরি করছে। আর এই এফআরবিকেই ভিনগ্রহীর সঙ্কেত বলে মনে করছেন তারা।আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শমী চট্টোপাধ্যায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কোথা থেকে এমন ভিনগ্রহীর আলো আসছে তা নিয়ে জানাতে সক্ষম হয়েছেন। গত সপ্তাহে সিয়াটেল, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২৩৩তম বৈঠকে সেই পর্যবেক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্র প্রকাশিত হবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাশূন্যে কখনো কখনো এমন কিছু আলো জ্বলে যেগুলো প্রাকৃতিক আলো নয়। এই আলোর উৎস আসলে ভিনগ্রহীরা। এই ধরনের আলোকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ (এফআরবি)। আতসবাজির মতো সেই আলো যতই ক্ষণস্থায়ী হোক, কয়েক লহমায় তা যে পরিমাণ তাপশক্তি মহাশূন্যে ছড়িয়ে দেয় তা, আমাদের সূর্যের ছড়ানো আলোর শক্তির (তাপ) চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
এই গবেষণায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অনাবাসী শ্রীহর্ষ তেন্ডুলকার। গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ১২ বছরে এমন এফআরবি বা ভিনগ্রহীদের আলো বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেখা গিয়েছে কম করে ৬০টি। এই আলো দেখা দেওয়ার কয়েক মুহূর্তেই উধাও হয়ে গিয়েছে তাই এতদিন বোঝা যায়নি কোথা থেকে আসছে সেই আলো। কিন্তু গত দুই মাসে অন্তত ১৩ বার এই ধরনের ভিনগ্রহী আলো দেখা গেছে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে।
অধ্যাপক শমী চট্টোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) কী জিনিস। তার মতে, এফআরবি আসলে একটা অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ। যা গোটা ব্রহ্মাণ্ডেই ছড়িয়ে রয়েছে। আতসবাজি ফাটানো হলে যেমন হয়, তেমনই খুব শক্তিশালী, অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোর ঝলক। যাকে বলা হয়, ‘লাইট ফ্ল্যাশেস’। প্রতি দিন ব্রহ্মাণ্ডে এমন আলোর ঝলকানির ঘটনা ঘটে গড়ে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজারটি। কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের অনেক দূরের সেই আতসবাজির আলোর ঝলক আমাদের চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। ২০০৭ সালে তা প্রথম আমাদের নজরে আসে।

শমীর কথায়, ওই রেডিও তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ থেকে ২ গিগাহার্জ বা ২ থেকে ৪ গিগাহার্জ। আর তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে। একেবারে আলোর গতিতেই ছোটে এই তরঙ্গ। আর মূলত তা আলোক-কণা ‘ফোটন’ দিয়েই তৈরি। একটা সূর্যের মোট আয়ুষ্কালে যতটা শক্তির নিঃসরণ হয়, তাকে ১০-এর পিঠে ৩৮টা শূন্য বসিয়ে যে সংখ্যাটা হয়, তা দিয়ে গুণ করলে শক্তির যে পরিমাণ হয়, ওই আলোর ঝলকানি থেকে প্রতি মিলি-সেকেন্ডে তৈরি হয় সেই বিপুল পরিমাণ শক্তি।
সূত্রঃ-ইত্তেফাক 
ইনস্ট্যান্ট নুডলস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!!

ইনস্ট্যান্ট নুডলস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!!

এ ধরনের নুডুলসে ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম থাকে যা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। এই ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিও হতে থাকে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে অন্তত একবার ইনস্ট্যান্ট নুডুলস খান তারা মেটাবলিক সিনড্রমে ভুগেন। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চিনি ও চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একে মেটাবলিক সিনড্রম বলে।

ইনস্ট্যান্ট নুডুলস হজম হতে অনেক সময় নেয়। ফলে শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বের হতে অনেক সময় নেয়। তাই এ ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য যেকোনো ইনস্ট্যান্ট খাবার ক্ষতিকর। এটি ভ্রূণের শারীরিক গঠনের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ফেব্রুয়ারিতে!!

৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ফেব্রুয়ারিতে!!

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে চলতি মাসের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
রবিবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। চলতি মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে তা উল্লেখ করা হবে।