Saturday, December 22, 2018

কিছু সাধারন জ্ঞান প্রশ্নের চলিত ভুল এবং ব্যাখা



১) রঙ্গিন টেলিভিশন থেকে কোন ক্ষতিকারক রশ্মি নির্গত হয়?

ক) গামা রশ্মি
খ) মৃদু রঞ্জন রশ্মি
উত্তর : মৃদু রঞ্জন রশ্মি।

ব্যাখ্যা : বাজারে প্রচলিত অনেক গাইড বইয়ে এটার উত্তর 'গামা' দেওয়া আছে যা ভুল। আমরা জানি 'গামা' একটা তেজস্ক্রিয় রশ্মি যেটা উচ্চ পারমাণবিকসংখ্যা ও উচ্চ পারমাণবিক ভরসংখ্যা বিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্গত হয়। 

তেজস্ক্রিয় রশ্মি তিন ধরণের :-
১) আলফা রশ্মি
২) বিটা রশ্মি
৩) গামা রশ্মি

আবার দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেক্ট্রন কোনো ধাতুকে আঘাত করলে তা থেকে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এবং উচ্চ ভেদন ক্ষমতা সম্পন্ন এক প্রকৃতির বিকিরণ উৎপন্ন হয়। এই বিকিরণকে বলা হয় এক্সরে বা এক্সরশ্মি(X-Ray) বা রঞ্জনরশ্মি।

আমরা জানি টিভির পর্দায় ফসফরাস থাকে,ইলেকট্রন যখন এই ফসফরাসকে আঘাত করে তখন এখান থেকে মৃদু রঞ্জনরশ্মি নির্গত হয়,এটার পরিমাণ এতই ক্ষুদ্রতর যা উপেক্ষা করা যায়। সাধারণত CRT মনিটর থেকে মৃদু রঞ্জনরশ্মি নির্গত হয় কিন্তু আধুনিক এলসিডি/এলইডি মনিটর থেকে কোন ক্ষতিকারক রশ্মি নির্গত হয় না।

২) উদ্ভিদের মুখ্য পুষ্টি উপাদান কয়টি?
ক) ৯টি
খ) ১০টি
উত্তর : ১০টি।

ব্যাখ্যা : মাধ্যমিক জীববিজ্ঞানের কোন এক সংস্করণে মুখ্য উপাদান ৯টি দেওয়ায় কনফিউশন সৃষ্টি হয়। মুখ্য পুষ্টি উপাদান ১০টি।

৩) ঢাকা মোট কতবার বাংলার রাজধানী হয়?
উত্তর : চার বার।
যদি প্রশ্ন করা হয়, ঢাকা মোট কতবার রাজধানী হয়?
উত্তর : পাঁচ বার।
আবার যদি প্রশ্ন হয়, ঢাকা মোট কতবার বাংলাদেশের রাজধানী হয়?
উত্তর : এক বার।

ব্যাখ্যা : ঢাকা মোট পাঁচবার রাজধানী হয়।
##১৬১০ সালের ১৬ জুলাই সুবেদার ইসলাম খান বারো ভূইয়াদের নেতা মূসা খানকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন এবং ঢাকার নাম করেন জাহাঙ্গীরনগর। এই সময় পূর্ব বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়।

১৬৩৯ সালে শাহ সুজা বাংলার সুবেদার হলে বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে রাজমহলে নিয়ে যায়।

##১৬৬০ সালে মীর জুমলা বাংলার সুবেদার হলে ঢাকাকে পুনরায় রাজধানী করেন।

##১৯০৫ সালে বাংলা ও বিহার নিয়ে
প্রদেশ করা হলে তার রাজধানী হয় ঢাকা কিন্তু ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গের ফলে ঢাকা রাজধানীর মর্যাদা হারায়।

##১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলে পাকিস্তানের রাজধানী হয় করাচি আর পূর্ব বাংলার রাজধানী হয় ঢাকা।

##১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকাকে রাজধানী করা হয়।

৪) 'বিষাদসিন্ধু' উপন্যাসের নায়ক কে?
ক) ইমাম হোসেন
খ) এজিদ
উত্তর : ইমাম হোসেন।

ব্যাখ্যা : মীর মশাররফ হোসেন যখন 'বিষাদসিন্ধু' উপন্যাসটি লিখলেল, তখন তাঁর কাছে না ছিলো কোনো ইতিহাস, না ছিল কোনো ধর্মগ্রন্থ। বরং তাঁর ওপর প্রভাব পড়েছিল পুঁথি রচয়িতাগণ কর্তৃক রচিত মর্সিয়া সাহিত্যের। এ কারণে 'বিষাদসিন্ধু' উপন্যাসে প্রচলিত ধারনার কোনো নায়ক পাওয়া যায় না। এরপরও যদি প্রশ্ন করা হয়, উপন্যাসটির নায়ক কে? অনায়াসে উত্তর হবে ইমাম হোসেন। যেমনটি 'সিরাজুদ্দৌলা' নাটকের নায়ক নবাব সিরাজুদ্দৌলা, 'মেঘনাদবধ কাব্যে'র নায়ক রাবণ।
কোনো কোনো তথাকথিত বাম ঘরানার সমালোচকগণ দুশ্চরিত্র ইয়াজিদকে 'বিষাদসিন্ধু'র নায়ক বানাবার চেষ্টা করেছেন; বিষয়টি খুবই দুঃখজনক!
সূত্র: লহরি।

৬) 'মেঘনাদবধ' কাব্যে কোন রসের প্রাধান্য??
ক) বীর রস
খ) করুণ রস
উত্তর : করুণ রস।

ব্যাখ্যা : এই মহাকাব্যের শুরুর দিকে বীররসের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও পুরো মহাকাব্যে করুণ রসের প্রাধান্য ছিল।

Written by : Misbahul Kabir

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: